মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোনও রাজনৈতিক নেতার হাস্যকর অবৈজ্ঞানিক দাবি নয়, ইরাকে পাওয়া ২,৬৬০ বছরের পুরনো আসিরিয় ফলকে সৌরঝড়ের কথা লক্ষণ উল্লেখ করা আছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণা ও বিশ্লেষণের পর এই তথ্য তারা জেনেছেন। যে ফলক বা ট্যাবলেটে এই তথ্য পাওয়া গেছে, তার স্কেচও প্রকাশ করেছেন তারা।
উনিশ শতকের শুরুতে সাবেক মেসোপটেমিয়া (বর্তমানে ইরাকের অংশ) থেকে এক হাজারের বেশি ট্যাবলেট পান পুরাতত্ত্ববিদরা, সেগুলি সবই আসিরিয় সাম্রাজ্যের সময়কার। এই সব ট্যাবলেটে বিভিন্ন চুক্তি, গল্প প্রভৃতি ছিল। এমনকি গিলগামেশের যে কাব্য এখন বিখ্যাত হয়েছে, তাও পাওয়া গিয়েছিল ওই ট্যাবলেটগুলির মধ্যেই। ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানের অনেক কথাও। সেই সময়ে গ্রহ-নক্ষত্র সম্বন্ধে ধারণা, ধূমকেতু, উল্কা প্রভৃতির পাশাপাশি নানা রকম প্রাকৃতিক লক্ষণ ও অশুভ ইঙ্গিতের কথাও লেখা ছিল সেই সব ট্যাবলেটে। তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। সেখানেই সম্প্রতি একটি বিষয় গবেষকদের অবাক করেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত ট্যাবলেটগুলি পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন, সেখানে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা একত্র করে অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘আকাশে উজ্জ্বল লালাভ এক দৃশ্য’ আর তা ঘটেছে সূর্যের কোনও কণার সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের ক্রিয়ার ফলে।
এক জায়গায় ‘লাল আলো’ ও আরেক জায়গায় ‘লাল মেঘ’-এর যে উল্লেখ তারা পেয়েছেন, এবং তৃতীয় একটি ট্যাবলেটে লালে ‘ঢাকা আকাশ’-এর যে কথা তারা পেয়েছেন, তা যোগ করেই সৌরঝড়ের কথা জেনেছেন বিজ্ঞানীরা। সে কথা সম্প্রতি দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স-এ প্রকাশিত হয়েছে। ওই ট্যাবলেটগুলির সময়কাল ৬৭৯ থেকে ৬৫৫ খ্রিস্টপূর্ব, ৬৭৭-৬৬৬ খ্রিস্টপূর্ব ও ৬৭৯-৬৭০ খ্রিস্টপূর্ব।
গবেষকরা মনে করছেন, সৌরঝড়ের একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত দেখেছিলেন মেসোপটেমিয়ার জ্যোতির্বিদরা, এখন যে দৃশ্য নর্থ ক্যারোলিনা থেকে দেখা যায়, সেই দৃশ্য। খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতকে চৌম্বকক্ষেত্রের উত্তরমেরু অধুনা পশ্চিম এশিয়ার কাছাকাছি ছিল বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই আসিরিয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সৌরঝড়ের কথাই উল্লেখ করেছেন ওই ট্যাবলেটগুলিতে। গবেষকরা জানিয়েছেন, সৌরঝড়ের কথা যে সব জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে আসিরীয় এই ট্যাবলেটগুলিই প্রাচীনতম। সেই সময়ে গাছের বার্ষিক বলয় ও অন্য জিনিস পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতকে সৌরঝড়ের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। ৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে যে সৌরঝড়ের উল্লেখ ছিল, তার থেকেও বেশি। সূত্র: দ্য ওয়াল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।