Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অত্যাচারের মাত্রা যত বাড়ে স্বৈরাচারের পতন ততই বেশি ত্বরান্বিত হয়

গাজীপুর বিএনপির সমাবেশে বক্তারা

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:২৭ পিএম | আপডেট : ৯:৩১ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯

সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগার আটকে রেখে দেশবিরোধী চুক্তি ও বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকা-ের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি রোববার শহরের রাজবাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন বলেন, অত্যাচারের মাত্রা যত বাড়ে স্বৈরাচারের পতন তত বেশি ত্বরান্বিত হয়। কাউকে চূড়ান্ত পতনের আগে বিদাতা তাকে পাগল করে দেন। অত্যাচারি এই অবৈধ সরকার এখন পাগল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, স¤্রাট ধরা পড়েছে; যেদিন স¤্রাজ্ঞী ধরা পড়বে সেদিন মানুষ গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা ফিরে পাবে।
মহানগর বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, যে কোন পরিস্থিতিতে সত্যকে লালন করতে হবে। সত্য লালন করতে গিয়ে মৃত্যু হলে সেই মৃত্যু হবে গৌরবের মৃত্যু। আমরা ঘৃণীত মৃত্যু চাই না; গর্বের মৃত্যু চাই। তিনি বলেন, দেশ বিরোধী চক্রান্ত দেখলে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম আরেকটি পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ হওয়ার জন্য নয়। দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো আজ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। জাতিকে মেধাহীন করতে সুপরিকল্পিতভাবে একটি ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
গাজীপুর জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল বলেন, আবরার হত্যাকা- নিয়ে বক্তৃতা না করার শর্তে আজকে আমাদেরকে এই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উচিত কথা বললেই জেল-জুলুম-নির্যাতন এই দেশের জনতা আর মেনে নেবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করলে তাকে আজ জেলে যেতে হতো না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম বলেন, দেশের বিরুদ্ধে কথা বললে বিদেশে হয় আবাস, আর দেশের পক্ষে কথা বললে হয় লাশ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় জেলে আটকে রাখা হয়েছে দেশের সব কিছু ভারতকে দিয়ে দেওয়ার জন্য। চট্রগ্রাম বন্দর ভারতকে ইজারা দেওয়ার জন্য।
মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের বাধার কারণে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে আসতে পারেননি। তিনি হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, আন্দোলন শুরু হলে আমাদেরকে আর পার্টি অফিসে পাবেন না। সারা দেশের সর্বত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে। তখন বাধা দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, বিএনপি নেতা শাহ রিয়াজুল হান্নান, আজিজুর রহমান পেরা, হুমায়ূন কবীর মাস্টার, আহমদ আলী রুশদী, সাখাওয়াৎ হোসেন সবুজ, শাহজাহান ফকির, সাখাওয়াৎ হোসেন সেলিম, আব্দুস সালাম, বশির আহমেদ বাচ্চু, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেড কাজী খান, নূর নাহার বেগম



 

Show all comments
  • সচেতন জনতা ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:২৫ পিএম says : 0
    এই ভাল শান্তিপুনভাবে কর্মসুচি পালন হলো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ সমাবেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ