মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মরেও শান্তি নেই উইঘুরদের। বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন জনগোষ্ঠীর অন্যতম উইঘুরদের উপর দীর্ঘদিন ধরেই দমন-পীড়ন চালাচ্ছে চীন। সম্প্রতি এক তদন্তে জানা গেল তাদের কবরস্থানও ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। স্যাটেলাইট ছবির বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান আর্থরাইজ অ্যালায়েন্স ও ফরাসী সংবাদমাধ্যম এএফপি যৌথভাবে এই তদন্ত চালায়। খবর ইউকে টেলিগ্রাফ।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম গোরস্থানের অন্ধকার কবরে শুয়ে রয়েছে যে স্বজনরা সেখানেও দুই বছর ধরে চলছে নানা অত্যাচার। কবরস্থান ভেঙে দেয়া হচ্ছে। সমাধি গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলা হচ্ছে হাড়গোড়-দেহাবশেষ। উইঘুরদের জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয় মুছে ফেলতেই বেইজিংয়ের এমন আচরণ বলে মনে করছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
জানা গেছে, চীনে দশ লক্ষাধিক উইঘুর মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। নারীদের বানানো হচ্ছে বন্ধ্যা। যেন সন্তান জন্ম দিতে না পারে। স্বাস্থ্যসেবার নামে গিনিপিগ বানিয়ে কেটে নেয়া হচ্ছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’র নামে সংখ্যালঘু এ সম্প্রদায়ের প্রায় আড়াই কোটি মানুষের ওপর চলছে রাষ্ট্রীয় নজরদারি। চীনের চতুর্মুখী দমন-পীড়নে পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশ এখন এক পুলিশি রাষ্ট্র। পান থেকে চুন খসলেই নেমে আসে মৃত্যুর বিভীষিকা। কিন্তু মরেও যেন মুক্তি নেই উইঘুরদের।
জিনজিয়াংয়ের একটি মনোরম উপত্যকায় অবস্থিত লিনজিয়া শহর। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই ধর্মপ্রাণ মুসলিম। শহরটি ‘ছোট্ট মক্কা’ নামেও পরিচিত। চীন সরকার এখানকার ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত সমস্ত নিশানা ধ্বংস করে ফেলছে। শহরের সব মসজিদ, এর গম্বুজ এবং মিনারগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। বেইজিং থেকে নিংজিয়া পর্যন্ত সব এলাকায় আরবি লিপির প্রকাশ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত দুই বছর ধরে চলছে গোরস্থান ধ্বংসলীলা। এ পর্যন্ত কয়েকশ’ কবরস্থান ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এএফপির অনুসন্ধানে ও আর্থরাইজ অ্যালায়ান্স নামের একটি অধিকার সংস্থার গৃহীত স্যাটেলাইটের ছবিতেও গোরস্থান ভাঙার সত্যতা উঠে এসেছে। এএফপির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জিনজিয়াংয়ের শায়ার অঞ্চলে বেশ কয়েকটি সমাধি ভেঙে দেয়া হয়েছে। অন্তত তিনটি কবরস্থানে হাড়গোড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। আরও কয়েকটি কবরস্থানে সমাধিস্তম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখানে-ওখানে পড়ে রয়েছে সমাধির ইট। কিন্তু বরাবরের মতো এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।