বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719408016](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে থেকে অজ্ঞাত নামা হিসেবে উদ্ধার হওয়া এক কিশোরের পরিচয় মিলল ২০দিন পরে। নিহত কিশোরের নাম মোঃ পারভেজ(১৬)। তার বাবার নাম মুত নুরুজ্জামন। বাড়ি শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার বাঁশেরচর গ্রামে। সে থাকতো রাজধানীর লালবাগ শহীদ নগর এলাকায় তার মামার বাসায়। আজ শনিবার(০৫অক্টোবর) সকালে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় এই ঘটনায় নিহতের মামা মোঃ বাবু বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত শুক্রবার(০৪অক্টোবর) বিকেলে নিহতের মামা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে নিহত পারভেজের লাশ সনাক্ত করেন। এই ঘটনায় মোঃ ইমন(১৯),মোঃ ফাহিম হোসেন(১৮),মোঃ সিহাব হোসে(১৭) ও মোঃ আলম(১৭) নামে ৪জনকে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়।তাদেরকে সকালে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ ফিরোজ উদ্দিন জানান, গত ১৫সেপ্টেম্বর নিহত পারভেজ নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়।ওই দিনই পারভেজ তার মামাতো ভাই ইমনের সাথে ক্রিকেট খেলতে যায় একটি মাঠে। খেলা শেষে নিহত পারভেজ, তার মামাতো ভাই ইমন ও অপর দুই কিশোর সিহাব এবং আলম একত্রে ফতুল্লার মুন্সীখোলা বরাবর বুড়িগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নামে । এসময় পারভেজ নদীতে হঠাৎ ডুবে যায়। এতে মামাতো ভাই পারভেজ, সিহাব ও আলম তাড়াদাড়ি নদীর পাড়ে উঠে আসে। তারা নদীর পাড়ে রাখা পারভেজের গেঞ্জিটিও নদীতে ফেলে দেয় এবং পারভেজেরে মোবাইল ফোনটি ইমন নিয়ে যায়। কিন্তু ইমন এই ঘটনাটি তার পরিবারের কাছে কিছুই জানায়নি।গত(১৬সেপ্টেম্বর) বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পারভেজের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কেলজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়। দীর্ঘদিন পারভেজের লাশটি হাসপাতালের মর্গেই পড়ে ছিল। পরে লাশটি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু নিহতের মামা মোঃ বাবু শুক্রবার বিকেলে মর্গে এসে পারভেজের লাশ সনাক্ত করায় ২০দিনর পর লাশের পরিচয় মিলেছে।নিহত পারভেজের মামা বাবুর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পারভেজের ব্যহৃত মোবাইল ফোনের সুত্রধরে শুক্রবার রাতেই পারভেজের মামাতো ভাই ইমনকে ফতুল্লাহ থেকে আটক করা হয়। পরে ইমনের তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফাহিম,সিহাব ও আলমকে আটক করা হয়। আটকৃতরা পারভেজ নদীতে ডুবে নিখোঁজের ঘটনাটি ভয়ে কারো কাছে বলেনি বলে তারা তার কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে এটি হত্যা না কি পানিতে ডুবে মুত্যুর ঘটনা সেটা তদন্ত সাপেক্ষে ও ময়না দতন্তের রিপোর্টের মাধ্যমেই বলা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।