ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। “তরুণরাই এই পেশার ভবিষ্যৎ”- এ মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের একশটি দেশের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন এবারও এ দিবসটি পালন করছে। শিক্ষক দিবসে বাংলাদেশের সকল শিক্ষককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল।
শনিবার (৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সাদা দলের শিক্ষকরা বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে শিক্ষক সমাজ সবচেয়ে অবহেলিত ও উপেক্ষিত। অন্যান্য পেশার তুলনায় শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অনেক কম। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এমনকি শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মতো কাজেও শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ও মতামত প্রদানের সুযোগ দেয়া হয় না। এ কথা প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সমানভাবে সত্য। শুধু বেতন বৈষম্য বা আর্থিক সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে নয়, আজ শিক্ষক সমাজ নানাভাবে হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন খর্ব করে শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এর সাম্প্রতিক নজির হচ্ছে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রবর্তনের চেষ্টা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজে শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ ও তাদের সম্মান জানানোর জন্য বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশে সরকারিভাবে নানা দিবস পালন করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, এখন পর্যন্ত এদেশে বিশ্ব শিক্ষক দিবস সরকারিভাবে পালন করার হয় না। এটি আমাদের একটি মৌলিক অধিকার পূরণে সরাসরি ভূমিকা পালনকারী শিক্ষকদের অসম্মান এবং রাষ্ট্রীয় উপেক্ষারই নামান্তর বলে আমরা মনে করি।
সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের স্বাক্ষরে বিবৃতিদানকারী শিক্ষকরা হলেন- প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম সরকার, এম এ কাউসার, প্রফেসর ড. মো. শফিকুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. শহীদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, ড. মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আল আমিন, প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রফেসর ড. মামুন আহমেদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, প্রফেসর ড. মো: আবদুর রশীদ, প্রফেসর ড. মোঃ হাসান উজ্জামান, প্রফেসর মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, প্রফেসর ড. মো. নুরুল আমিন, ইসরাফিল প্রামাণিক, প্রফেসর মো. মাহফুজুল হক, প্রফেসর ড. লায়লা নূর ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার বড়ূয়া, প্রফেসর ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. বোরহান উদ্দীন খান, প্রফেসর মো. মাহ্ফুজুল ইসলাম, প্রফেসর তাহমিনা আখতার, প্রফেসর ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, প্রফেসর মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, প্রফেসর আহমেদ জামাল আনোয়ার, প্রফেসর ড. মোবাশ্বের মোনেম, প্রফেসর ড. মোঃ আবদুর রব, প্রফেসর ড. মোঃ আবুল বাসার, প্রফেসর ড. খোন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. এ.এ. মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর শামীম শামছি, প্রফেসর ড. রাজিয়া বেগম, প্রফেসর ড. সিরাজুল হক, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, ড. আরিফ বিল্লাহ, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ মেজবাহ উল ইসলাম, ড. মুর্শিদা বেগম, মৌটুসী তানহা, ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী, মোহাম্মদ দাউদ খান, মোহাম্মদ আবু ইউসুফ প্রমূখসহ দেড় শতাধিক শিক্ষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।