পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে ছয় দিন জম্মু-কাশ্মীরে কাটিয়ে এসেছেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। ঘুরেছেন জম্মু, শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগের মতো এলাকা। মঙ্গলবার সেখানকার অভিজ্ঞতার বিষয়ে তিনি বললেন, ‘সব নাকি খুব ভাল? কোনো বিধিনিষেধই নাকি নেই? সরকার যে ছবি দেখাচ্ছে, তা ধোঁকা ছাড়া আর কিছু নয়। নেতারা বন্দি, আর ভোট করছে বিজেপি। অবিলম্বে এ সব বন্ধ হোক।’ এর আগে কাশ্মীর প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অন্য ভাষার সঙ্গে বাংলাতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘(দেশে) সব খুব ভাল।’ কাশ্মীর নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘কাশ্মীরে কোনো বিধিনিষেধই নেই। বিধিনিষেধ তো কারও কারও মনে। সেখানে তো এ বারে পঞ্চায়েতের নিচের স্তরে ভোটও হবে।’’ যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর গিয়েছেন আজাদ, তাই শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট দেবেন সেখানকার হাল হকিকতের। তিনি বললেন, ‘বিধিনিষেধ না থাকলে নিজের রাজ্যে যাওয়ার জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হল কেন? অধিকাংশ জায়গাতেই যেতে দেয়নি প্রশাসন। যারা দেখা করতে এসেছেন, তাদের সঙ্গে কথোপকথনও ভিডিও বন্দি হয়েছে। ভয় দেখানো হয়েছে, মুখ খুললে উঠিয়ে নেওয়া হবে। মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। তবু তারা প্রশাসনকে সমর্থন করছেন না। ইন্টারনেট-মোবাইল ফোন বন্ধ, স্কুল-কলেজ বন্ধ, ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। শুধু উপত্যকার নয়, জম্মুরও একই অবস্থা।’ সোমবার অমিত শাহ জানান, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত গঠন হয়ে গেলেই ভারত সরকার ৭ হাজার কোটি টাকা পাঠাবে। তা খরচ হবে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। ৫-৭ বছরে উন্নয়নে সেরা হবে জম্মু-কাশ্মীর। কিন্তু সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কাশ্মীরের অর্ধেক বাসিন্দাই শ্রমিক, কারিগর। ব্যবসা, পরিবহন বন্ধ। তাই তাদের দিনমজুরিও নেই। শ্রীনগরের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত জম্মুরও ব্যবসা। সকালে যে এক-দেড় ঘণ্টা বাজার খোলা হয়, সেখানকার ছবি দেখিয়েই সরকার দাবি করছে ‘সব স্বাভাবিক, সব ভাল।’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজাদের আবেদন, ছ’মাসের জন্য খাবার, ওষুধ বিনাম‚ল্যে বিলি করা হোক। চালু হোক স্কুল-কলেজ, ইন্টারনেট-মোবাইল। আবদুল্লা-মুফতিদের সঙ্গে কংগ্রেসের নেতাদেরও বন্দি রেখে আসন পুনর্বিন্যাস করে ফেলে যে ভোট করাচ্ছে বিজেপি, তা বাতিল হোক। সব দলের নেতার সঙ্গে আলোচনা করে নতুন ভাবে আসন পুনর্বিন্যাস করা হোক। ভোট হোক পরের বছর। অন্য দিকে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ এবং নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় পেশ করা সব আর্জির শুনানি এক দিন পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।