নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরের মাঠে উইকেট বানানো তো নিজেদের হাতেই। চাইলে পাওয়ার কথা পছন্দমতো উইকেট। সেই চেষ্টা হয়তো হবে এবারও। তারপরও একটু অনিশ্চয়তা, খেলা চট্টগ্রামে বলেই। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে স্বাগতিক দলও বিভ্রান্ত হয়েছে এর আগে। অনেক সময়ই ম্যাচ যত গড়িয়েছে, উল্টে গেছে আচরণ। হয়তো পরের দিকে বা শেষ ইনিংসে অদ্ভূতভাবে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হয়ে গেছে। কিংবা নানাভাবেই চমকে দিয়েছে এই ২২ গজ।
এবার উইকেট কেমন, সেই বিশ্লেষণে যেতে চাইলেন না সাকিব। তবে টেস্ট শুরুর আগের দিন জানালেন, চট্টগ্রাম বলেই তারা খোলা রাখছেন মন, ‘অনেক সময় দেখা যায় যে চট্টগ্রামে যেমন উইকেট দেখা যায়, তেমন হয় না। আমরা আসলে ওপেন মাইন্ডে আছি। যে ধরণের উইকেটই হবে, চেষ্টা করব সেটার সঙ্গে দ্রæততম সময়ে মানিয়ে নেওয়ার এবং প্রতিপক্ষের চেয়ে আরও ভালোভাবে মানিয়ে নেওয়ার। সেটি করতে পারলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’
ক্রিকেটে টস সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার বাস্তবতায় টেস্টে টসকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সাকিব। তবে টস পক্ষে আসুক বা না আসুক, ম্যাচের শুরুটা পক্ষে আনতে চান অধিনায়ক, ‘এশিয়াতে সবসময়ই টস অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়। বাড়তি সুবিধা একটু থাকবে (জিতলে)। তবে যতই সুবিধা-অসুবিধা থাকুক, গুরুত্বপূর্ণ হলো যে আমরা বোলিং করি বা ব্যাটিং, শুরুটা যেন ভালো করতে পারি। মোমেন্টাম আমাদের দিকে যেন নিতে পারি। এরপর সেই মোমেন্টামটা ধরে রাখা আরও গুরুত্বপূর্ণ।’
সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে সাদা পোষাকে স্পিনাররা যতটা সফল পেসাররা হাঁটেন ঠিক তার উল্টো পথে। দুদিন আগেও, দিনে কেউ ১৮-২০ ওভার বল করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন নতুন পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। টেস্ট শুরুর আগের দিনও তা নিয়ে না-কি অসন্তোষও আড়াল করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান স্পিনে পটু, বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার মতো ঘূর্ণি বোলার তাদের ভাÐারে ভরপুর। স্পিনিং উইকেটে তাদের বিপক্ষে না নামাটাই হতো নিরাপদ পথ। কিন্তু বাংলাদেশ হাঁটছে না সে পথে। পেস বান্ধব উইকেট বানিয়ে ফায়দা উঠাবার মতো রসদ তো থাকা চাই। আপাতত যা খবর, তাতে এক পেসারের বেশি খেলানোর সম্ভাবনা এবারও খুবই কম। সেটা যতটা নিজেদের স্পিন শক্তির কথা মাথায় রেখে, তার চেয়ে বেশি পেসারদের দৈন্যের জন্যই। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্পিনারদেরই প্রস্তুতি নিতে দেখা গেল বেশি। ইঙ্গিতটা পরিষ্কার, এই টেস্টেও পেসাররা থাকছেন সাইড বেঞ্চেই। টেস্ট শুরুর আগের দিন কোচের কথা ধরেই অধিনায়কের কাছে প্রশ্ন গেল, কেন ধুঁকছেন পেসাররা? কীসের ঘাটতি তাদের। সাকিব বোঝালেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তিনিও, ‘বলাটা মুশকিল, কীসের অভাব। আমি যেহেতু পেস বোলার নই, ওদের মনমানসিকতা আমার জন্য বোঝা কঠিন। একটা কারণ হতে পারে যে ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরা এতটা বোলিং করে অভ্যস্ত নয়। সেটা একটি কারণ হতে পারে। হয়তো ফিটনেসেরও সমস্যা থাকতে পারে। তবে যেটাই হোক, আমি নিশ্চিত, পেস বোলিং কোচ নতুন যিনি এসেছেন, বোলারদের সঙ্গে ওসব নিয়ে কাজ করবেন এবং এই জায়গাগুলোতে উন্নতি করবে ওরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।