ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
গণরুম-গেস্টরুম বন্ধ করে প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে জবাবদিহীতার সম্মুখীন হতে হয়। এতে বিভিন্ন সময় তাদের গালাগাল ও চড় থাপ্পড় মারে সিনিয়ররা। নবীন শিক্ষার্থীরা গণরুমে গাদাগাদি করে থাকলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেকেই সিঙ্গেল রুমে থাকে। এ সংস্কৃতি বাদ দিতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
আইন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, ঢাবিতে আবাসনের এ সংকট কৃত্রিম সমস্যা, এটা ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনেরই তৈরি। প্রশাসনের দায়িত্ব প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থীকে হলে ওঠানো, সে দায়িত্ব কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। তার অভিযোগ, গণরুমগুলো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ছাত্রনেতারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লোকসমাগম দেখানোর জন্য গণরুমের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যখন দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি, তখন অনেকটাই অসহায় থাকি। এখানে আমাদের মাথা গোজার কোনো জায়গা থাকে না। যখন যারা বাংলাদেশের শাসনক্ষমতায় থাকে, তারাই এ সুযোগটাকে গ্রহণ করে। তাই শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিটের দাবি তুলেছে। এটা খুবই যৌক্তিক দাবি।
রুমানা নামে এক ছাত্রী বলেন, অনেকে চায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতির পরিবর্তন হোক। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে কিছুই পরিবর্তন হবে না। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে যেসব শিক্ষার্থী যায়, তাদেরকে গণরুম থেকেই নিয়ে যাওয়া হয়। গেস্টরুম না থাকলে গণভবনে শিক্ষার্থী যাওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই, যা আদায় করতে হয়, নিজ থেকেই আদায় করতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।