বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের নিখোঁজের ৩দিন পর ৭ বছরের শিশু এমরানের লাশ উদ্ধারের পর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনায় ওয়াসিম আকরাম (২০) নামের এক যুবককে আটক করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানন্দিতে এ তথ্য উঠে আসে।
মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন তার সভা কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃত ওয়াসিম আকরাম একই ইউনিয়নের লক্ষনপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ওরপে মহিনের ছেলে।
ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার জানান, ওয়াসিমসহ ৪ জন মিলে ছয়ানি বাজার থেকে এমরানকে ধরে নিয়ে শহিদের একটি পরিত্যক্ত একচালা টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানো তারা পালাক্রমে এমরানকে পাশবিক কায়দায় বলাৎকার করে। এক পর্যায়ে শিশুটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকলে তারা শিশুটির গলায় রশি পেঁছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পলিথিন মুড়িয়ে মাছের ঝুড়িতে লুকিয়ে রাখে।
তদন্তের স্বার্থে অপর ৩ আসামীর নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিপক জ্যোতি খিসা, বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক নূরে আলম।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে এমরান বাড়ী থেকে বের হয়ে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পেয়ে, স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে প্রচার মাইক বের করেন। এ ঘটনায় এমরানের বাবা সামছুল হক বেগমগঞ্জ থানায় ২৩ আগষ্ট সাধারণ ডায়েরি করেন এবং ২৬ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন দিন পর সন্ধ্যায় ছয়ানী বাজারের একটি পরিত্যক্ত ঘরে মাছের বাক্স থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় শিশু এমরানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত এমরান হোসেন একই এলাকার ছোট শরীফপুর গ্রামের গজারী বাড়ীর সামছুল হকের ছেলে এবং ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।