Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চাঁদের মাটিতে রহস্যজনক জেলি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৪ পিএম

চাঁদের মাটিতে চীনের প্রথম রোবটিক মিশন (চেঞ্জ ৪ মিশন) শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ। এর আগে কোন দেশের চন্দ্রযানই চাঁদের এই অন্ধকারময় অংশে পা রাখেনি। চাঁদে একটি পূর্ণ দিন পৃথিবীর হিসেবে দুই সপ্তাহের সমান। এই হিসেবে মোট ৯টি চান্দ্র দিন চাঁদের মাটিতেই কাটিয়ে ফেলেছে এই রোবটিক মিশনের জোড়া যান ইউটু-২ রোভার ও চেঞ্জ ৪ ল্যান্ডার।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই মিশন সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ার আগে চাঁদের মাটি পর্যবেক্ষণ করে এই চন্দ্রযান দুটি চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে টানা ছবি পাঠিয়ে গিয়েছে ৯ জুলাই পর্যন্ত। ১৬ দিন বিশ্রামের পরে ফের তা সক্রিয় হয়েছে ২৫ জুলাই। ৭ আগস্ট পর্যন্ত যা পরীক্ষা জারি রেখেছিল চাঁদের মাটিতে। এই সময়ের মধ্যে ৮৯০ ফুট (২৭১ মিটার) পাড়ি দিয়েছে চীনের এই চন্দ্রযানদ্বয়। চাঁদের পৃষ্ঠে তীব্র উত্তাপ ও তেজস্ক্রিয় রশ্মি থেকে বাঁচতে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই চন্দ্রযান দু’টি নেয়। ২৮ জুলাই ইউটু২-কে নতুন করে সক্রিয় করার সময়ে রোভারের প্রধান ক্যামেরায় ওঠা ছবিগুলোকে যাচাই করার সময়ে একটি গর্তে রঙিন এক ধরনের জেল জাতীয় পদার্থের উপস্থিতি দেখতে পান গবেষকরা।

এই সময়ে অভিযান বন্ধ রেখে শক্তিশালী ক্যামেরা সহ-ইউটু২ ওই গর্তে নেমে ওই চ্যাটচ্যাটে জেলির মতো পদার্থের ছবি তোলে। বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, এই জেলটি উল্কাপাতের ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে জমা হওয়া এক ধরনের গলা কাচ।
যদিও ইউটু২-এর এই পর্যবেক্ষণে প্রথম কোন অদ্ভুত পদার্থ চাঁদে পাওয়া গেল এমন নয়। এর আগেও অ্যাপোলো-১৭ এর মহাকাশচারীরা এবং ভূবিজ্ঞানী হ্যারিসন স্মিট ১৯৭২ সালে চাঁদে কমলা রঙের মাটির সন্ধান পেয়েছিলেন। পরে তারা সিদ্ধান্তে আসেন, ৩৬৪ কোটি বছর আগের একটি অগ্ন্যুৎপাতের কারণে চাঁদের একটি অংশে এই ধরনের মাটি তৈরি হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাকাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ