বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ফুলপুরে সাবিনা ইয়াসমিন (১৭) নামের এক প্রেমিকার লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে কথিত প্রেমিক ও তার লোকজন। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক কামরুলের মা ফিরোজা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের মাটিচাপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে কামরুল ও একই জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের কুমুরিয়া (বস্তিপাড়া) গ্রামের লিয়াকত আলী খাঁর মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন গাজীপুর কোণাপাড়া রোডে নাওজোড়া এলাকায় মাস্টার সেন্ট নামে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতো। সে সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সূত্রধরে মঙ্গলবার প্রেমিকা সাবিনাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফোন করে প্রেমিক কামরুল নিজ বাড়ি ফুলপুরে মাটিচাপুর গ্রামে নিয়ে আসে। সেখানে মঙ্গলবার রাতে সাবিনা রহস্যজনক কারণে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বুধবার সকালে ফুলপুরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দিয়ে আবার ইমাদপুর গ্রামে প্রেমিক কামরুলের খালার বাড়ি নিয়ে যায়। সেখান থেকে বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় আবার প্রেমিক কামরুল, তার বাবা আব্দুল বারেক, মা ফিরোজা খাতুন ও আরো কয়েকজন সাবিনাকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদ শুনে মা ফিরোজা খাতুনকে রেখে প্রেমিক কামরুল ও অন্যরা পালিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সাবিনার বাবা ভ্যানচালক লিয়াকত আলী খাঁ বলেন, তাদের ওই সম্পর্কের বিষয়টি আমরা কেউ জানি না। আমার ধারণা, মেয়েকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। মা গৃহপরিচারিকা বেগম, বড়বোন গার্মেন্টসকর্মী রুনা ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বড় ভাই কামালের সাথে সাবিনা গাজীপুরের তেলিপাড়ায় থাকতো। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে সাবিনা গার্মেন্টসে যায়। নির্ধারিত সময়ে বাসায় না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে।কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে বুধবার মধ্য রাতে ফুলপুর থানা থেকে সাবিনার মৃত্যু সংবাদ পান তারা।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী বলেন, সাবিনার লাশে কোন আঘাতের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এছাড়া এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক কামরুলের মা ফিরোজা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।