বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ার সান্তাহার শহরের একজন পেশাদার জুয়ারী আব্দুল জলিল। সারা বছর রেলওয়ে জংশন শহরও এর আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় বসায় জুয়ার আসর। তার জুয়ার আসরে লোকজন বারাতে সেখানে পোলাও মাংসসহ ইয়াবা,ফেন্সিডিল,বাংলা মদ,জাগাসহ বিভিন্ন প্রকার নেশার ব্যবস্থা করা হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেন ও সড়ক পথে বড় বড় জুয়ারী এসে জলিলের জুয়ার আসরে অংশগ্রহণ করে। দিনে ও রাতে চলে তার জুয়ার আসর, খেলা হয় লাখ লাখ টাকা ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিদিন পুলিশ প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দেয়ায় বন্ধ হয়না জলিলের জুয়ার আসর। এলাকায় অবাধে সারা বছর রোমরোমাভাবে চলা পেটকাটা জলিলের জুয়ার আসরের প্রতিবাদ করলে অনেককে পড়তে হয় পুলিশের রোষানলে । জুয়া বন্ধের জন্য এলাকাবাসী একাধিকবার আদমদীঘি থানা ও বগুড়া জেলা পুলিশকে অবহিত করেও কোন ফল পাননি। সান্তাহার শহরের কিছু প্রতিবাদী মানুষের চাপের মুখে কয়েকদিন বন্ধ ছিল জলিলের জুয়ার আসর। গত ঈদুল আযাহা থেকে পুনরায় ঢাকঢোল পেটিয়ে আব্দুল জলিল পুনরায় শুরু করেছেন তার জুয়ার আসর। জুয়ার আসরের মোক্ষম জায়গা হিসেবে এবার বেছে নিয়েছে সান্তাহার শহরের নাটোর-নওগাঁ বাইপাস সড়কের পাশে সরকারি কলেজ সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত মুরগীর খামার। সান্তাহার সরকারি কলেজের পাশে বিশাল পরিসরে জুয়ার জমজমাট আসর বসলেও এ বিষয়ে টাউন বা থানা পুলিশের কোন মাথাব্যথা নেই । সান্তাহার নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম আম্বিয়া বলেন, জলিলের জুয়া শুরু হলে এলাকায় চুরি,ছিনতাই ব্যাপক হারে বেড়ে যায়।
এরপরও বন্ধ হয়না তার জুয়ার আসর। শহরের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম, সোহেল রানা, রায়হানুল ইসলাম,’সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, সান্তাহার পুলিশ ফাড়ি’র নিয়োজিত সুনিল নামের ব্যাক্তি প্রতিদিন জুয়ার আসর থেকে নিয়ে যায় হাজার হাজার টাকা এবং রাতে আসে থানা পুলিশের লোকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সান্তাহার সরকারি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন,একটি কলেজের পাশে জুয়ার আসর বসছে অথচ পুলিশ নির্বিকার। জানতে চাইলে সহকারি পুলিশ সুপার (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া-সার্কেল) এরশাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি খোজ নিয়ে দ্ররুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত ) আব্দুর রাজ্জাক ও সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনিসুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কেউ ফোন ধরেন নি।এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ বিন- রশিদ বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না,দ্ররুত এই জুয়ার আসর বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।