২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
নানা কারনে মানষের মুখের ত্বকে তিল, মেছতা ,আচিল ও ব্রণের কারনে দাগ,ক্ষত বা সৌন্দয্যহানি ঘটে। আর এই বিষয়টি নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন মেয়েরা। আর সেই আদি কাল থেকেই ত্বক সৌন্দর্য্হানীর এসব সমস্যা দূরীকরণে রূপচর্চা বিষয়ক নানা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকে ব্যবহৃত এসব পদ্ধতিকে বিউটিপিলিং অনেকে আবার কেমিক্যাল পিলিং বলে । এই পদ্ধতিতে প্রাচীন মিসরের রানী ক্লিওপেট্রা টক দুধ দিয়ে গোসল করতেন। মূলত সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও যৌবন ধরে রাখার জন্য। কি আছে এই টক দুধে, যা রং ফর্সা করে। অনুরূপ ভাবে ফরাসী রমনীরা পুরাতন মদ গায়ে লাগাতো রূপ লাবণ্যের জন্যে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, দুধে -ল্যাকটিক এসিড, লেবু ও কমলায় -সাইট্রিক এসিড, আপেলে-ম্যালিক এসিড, আংগুরে-টারটারিক এসিড রয়েছে; এগুলোই এসবের সক্রিয় উপাদান, যা ত্বকের জন্যে উপকারী। এসব লাগানোর পদ্ধতি ও মাত্রা বিজ্ঞানীরা নির্ধারন করে দিয়েছেন। নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম মাত্রায় ব্যবহার কোন উপকার করে না, বেশী মাত্রায় ব্যবহার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ত্বকের পরিচর্যায় আমাদের দেশের অনেক মহিলা বিভিন্ন ফল-মূল, খাদ্য শস্য ত্বকে ব্যবহার করেন, এগুলো স্থুল পদ্ধতি। এতে কদাচিৎ উপকার পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এসব জিনিসের সঠিক প্রয়োগ বিধি মেনে উপকার পেতে হলে, বিউটি পিলিং করতে হবে। ১৯৪০ সাল থেকে ব্যবহৃত, বৈজ্ঞানিক ভাবে নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগবিধি বিউটি পিলিং নামে পরিচিত। এটি একটি লাগানোর ঔষধ; যা বিভিন্ন খাদ্য শস্য-ফল ও দুধের নির্যাস থেকে ইউরোপ ও আমেরিকার ঔষধ কারখানায় তৈরী হয়
এক্সপার্টরা (বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত) আক্রান্ত স্থানে লাগায়; এবং এই ঔষধ পুরাতন, অসুস্থ্য ত্বককে ফেলে দেয় এবং ত্বকে নতুন মাত্রা সংযোজিত করে । কেমিকেল পিলিং প্রয়োগের সময় ত্বক প্রায় ব্যথামুক্ত খাকে, হালকা জ্বালা-পোড়া করতে পারে, সর্বোচ্চ ০২ মিনিট পর্যন্ত। এতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহৃত হয় তাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই। প্রাচীন পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক সংস্করন, যা গত ৭০ বৎসর যাবৎ সারা পৃথিবীতে এবং গত ২০ বৎসর যাবৎ আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ত্বকের সৌন্দর্য্য বর্ধনে ও রং ফর্সাকারী হিসাবে তিল, দাগ, মেসতা, বলীরেখা ,ফাটা দাগ দূরীকরনে ও ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
কনসালটেন্ট ডার্মাটোলজিষ্ট ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ডা. জাহেদ হেয়ার এন্ড স্কিনিক
গ্রীণরোড, পান্থপথ, ঢাকা।
প্রয়োজনে- ০১৭০৭০১১২০০।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।