বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় আছেন কোনো সিভিল সার্জন ? কোনো বড় বড় ডাক্তার ‘ আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আমাদের ওষুধে বাত-ব্যথা, গেটে বাত, কোমড় ব্যথা, কানের পুঁজ সব রোগ ভালো হয়ে যাবে। বিবি সাহেবের কাছে লজ্জা পান, আর লজ্জা নয়, আমাদের এক ফাইল আপনার কাজ দেবে।’ ‘মারেন মারেন ইঁদুর মারেন, না মরে তো পিটিয়ে মারেন, ইঁদুর যেখানে খায়, লাতি-পুতি লিয়ে সেখানেই মরে’ (এটি পাবনা কথ্য ভাষা)। এই ভাবে পাবনার সিভিল সার্জনের বাস ভবনের সামনে, ফুটপাতে, পাবনার বিভিন্ন হাটে বাজারে অবৈধ ওষুধ বিক্রি করেন এক শ্রেণীর হকার। দেশের অন্যান্য জেলাতেও এমনটি দেখা যায় বটে। শুধু ফুটপাত, হাট-বাজারে নয়, ট্রেনে, বাস স্ট্যান্ডে এই দৃশ্য নিত্যদিন চোখে পড়ে।
পাবনায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা হাকারী করে ওষুধ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে মাঠে নেমেছেন, ভ্রাম্যামাণ আদালত। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অবৈধ ওষুধ ফুটপাতে বিক্রি করার দায়ে ২ হকারকে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত দুই দিন এই অভিযান চালানো হয়।
পাবনা ঔষধ প্রশান সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিনে পাবনা শহরে চাঁপা বিবি জামে মসজিদের পাশে, বেড়া উপজেলার বনগ্রামে আমজাদ মন্ডলের পুত্র হকার ওষুধ বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন নামীয় যৌন উত্তেজক অবৈধ ওষুধ, অন্যান্য রোগ নিরাময়ের নামে ওষুধ বিক্রয় করছিলা । এ সময় পাবনা সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুকসানার মিতার নেতৃত্বে পাবনা জেলা ঔষধ প্রশাসন ও ঔষধ তত্বাবধায়ক কে, এম, মুহসীনিন মাহবুব উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হকার জহিরুল ইসলামকে ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন । অপর দিকে, আটঘরিয়া উপজেলাধীন একদন্ত বাজারে ভূমি অফিসের সামনে ,সাঁথিয়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের হকার সেলিম রেজা মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন যৌন উত্তেজক অবৈধ ওষুধ বিক্রি করার সময় আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আকরাম আলীর নেতৃত্বে পাবনা জেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতে হকার সেলিম রেজাকে ৭ দিনের কারাদন্ড দেন। পাবনা জেলা ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তা জানান, দন্ডিত হকাররা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইনজয়, পাওয়ার ওয়েল, জিনসিন পাউডার, গ্রীনসিন, শরিফ পেইনকিলার ¯েপ্র, কানের ওষুধ, ব্যথা নাশক ওষুধসহ অবৈধ ওষুধ বিক্রি করে আসছিলো। পাবনা জেলা ঔষধ তত্বাবধায়ক কে, এম, মুহসীনিন মাহবুব আরও জানান, জেলার ঔষধের দোকানগুলিতে ড্রাগ লাইসেন্স না থাকা ও নবায়ন না করে ফার্মেসী পরিচালনা করায়, মেয়াদ উত্তীর্ন অনুমোদন বিহীন ঔষধের বিষয়ে অভিযান অব্যহত রয়েছে। হকার ওষুধ ব্যবসায়ী এবং মেয়াদত্তোর্ণী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।