পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719794391](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের প্রখ্যাত নিউরোসার্জন ও বিএমএ চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. এল এ কাদেরী (৮১) গতকাল রোববার নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিভাগীয় প্রধান এবং বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় ইউএসটিসির প্রো-ভিসির দায়িত্ব পালন করেন।
গতকাল বাদ আছর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মাঠ, বাদ এশা দেওয়ান বাজার মোহাম্মদ জামে মসজিদে তার দুই দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টায় জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে তৃতীয় এবং হাটহাজারীর ফটিকায় সরকারি রহমানিয়া স্কুল মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে হাটহাজারীতে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।
এল এ কাদেরী ১৯৪১ সালের ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এমবিবিএস পরীক্ষায় সারাদেশে স্বর্ণপদকসহ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৬৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৬৮ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাউজ সার্জন, সিনিয়র হাউজ সার্জন ও ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি লন্ডনে ডিপ্লোমা ইন ভেনারিওলজি, ১৯৭১ সালে নিওরোসার্জারিতে এফআরসিএস এবং ১৯৭৭ সালে মাইক্রোসার্জারিতে ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে তার প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নিউরোসার্জারি বিভাগ খোলা হয়। অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তিনি এই বিভাগে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।