গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকার উত্তরাস্থ আশকোনা হজক্যাম্প থেকে সোমবার দুইজন হজযাত্রীর প্রায় ৯০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। এদের মধ্যে পাবনার চাটমোহরের জব্বার মোল্লা নামের ৬৮ বছর এক বৃদ্ধ হজযাত্রীর ১৩০০ সৌদী রিয়াল (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৯ হাজার টাকা) হজক্যাম্পের দোতলার হজযাত্রীদের আবাসিক এলাকা ডরমেটরির গোসলখানা থেকে সোমবার সকাল ৯ টার দিকে চুরি হয়েছে। এর একটু পরে সকাল ১০ টার দিকে নিচতলায় মসজিদের দক্ষিণ পাশে পুরুষ হজযাত্রীদের গোসলখানা থেকে আবু মুসা নামের এক হজযাত্রীর বাংলা টাকা ৫৯ হাজার টাকা চুরি হয়।
সোমবার সন্ধা পর্যন্ত বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও দু’জনের একজনের টাকাও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, জব্বার মোল্লার হজের ফ্লাইট সোমবার দিবাগত রাত ৩ টা ৫ মিনিটে আর আবু মুসার হজের ফ্লাইটও সোমবার ভোর রাতেই।
জব্বার মোল্লার ভাতিজা আবুল বাশার দুপুরে জানান, তার চাচা বয়স্ক মানুষ। তিনি সকাল ৯ টার দিকে হজের কাগজপত্র ও টাকাসহ একটি হাত ব্যাগ নিয়ে হজক্যাম্পের দোতলার ডরমেটরিতে গোসলাখানায় যান। গোসল শেষ করে তিনি সেখানে ঐ ব্যাগ রেখেই চলে আসেন। কিছু সময় পর মনে পড়লে তিনি আবার পুনরায় গোসলখানায় গিয়ে ব্যাগ ও কাগজপত্র পেলেও ব্যাগে কোনো টাকা পাননি। তার ব্যাগে ১৩ শ’ রিয়াল (বাংলাদেশী টাকায় পায় ২৯ হাজার টাকা) ছিল। টাকা চুরি যাওয়া এই দু’জন হজযাত্রীই হজের সময়ে কুরবানির জন্য এই অর্থ সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ব্যাগে রেখেছিলেন। বিষয়টি সাথে সাথে হজ অফিসের কর্মকর্তাদের জানালেও তারা টাকার কোনো হদিস করতে পারেননি।
এদিকে টাকা হারিয়ে জব্বার মোল্লা ও আবু মুসা দু’জনেই মৌখিকভাবে হজক্যাম্পে স্থাপিত বিমানবন্দর থানার অস্থায়ী কন্ট্রোলরুমে টাকা হারানোর বিষয়টি মৌখিকভাবে ডিউটি অফিসার এস আই সুবজ মিয়াকে জানান।
দুপুরে পুলিশের এসআই সবুজ মিয়া জানান, যেহেতু হজক্যাম্পের মধ্যে সবচেয়ে সিকিউরড্ জায়গা হলো দোতলার ডরমেটরি। তাই সেখানে বাইরের কোন লোক যাওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই আমরা এখন কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো? ডরমেটরিতে যারা আছেন তারা সবাই সম্মানীত হজযাত্রী। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছি।
হজযাত্রীদের টাকা চুরি যাওয়া প্রসঙ্গে আশকোনার হজক্যাম্পের পরিচালক (হজ অফিসার) মো: সাইফুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, হজক্যাম্প থেকে হজযাত্রীদের টাকা চুরি যাওয়া নি:সন্দেহে দু:খজনক ঘটনা। তবে আমরা সিসি টিভির ফুটেজ দেখেও কাউকে সনাক্ত করতে পারবো না এই কারণে যে, হজক্যাম্পের গোসলখানা কোনটিই সঙ্গত কারণেই সিসি টিভির আওতায় নেই। এর পরেও আমরা বিষয়টি দেখছি। একই সাথে আমরা অন্যান্য হজযাত্রীদেরকেও এই বিষয়টি জানিয়ে রাখছি। যাতে করে অন্যরা আরো বেশি সতর্ক হতে পারেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।