নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ডলার ও টাকা চুরি হয়েছিল জাতীয় নারী দলের তিন ফুটবলারের। এরা হলেন- সাফের ফাইনালের জোড়া গোলদাতা ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার, ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার সিনিয়র ও মিডফিল্ডার সানজিদা আক্তার। তাদের চুরি হওয়া সেই অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান ও ফিফা কাউন্সিল মেম্বার মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিন মেয়ের চুরি হওয়া অর্থ যদি পাওয়া না যায় তাহলে তিনি তার ক্ষতিপূরণ দেবেন। মেয়েদের হারানো ডলার এবং টাকা শেষ পর্যন্ত পাওয়া না যাওয়ায় গতকাল তাদের ক্ষতিপূরণ দেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান। মাহফুজা আক্তার কিরণ নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কৃষ্ণা-সানজিদা-শামসুন্নাহারদের এই ক্ষতিপূরণ দেন। যা হারানো অর্থের চেয়ে বেশি।
কাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সানজিদা, কৃষ্ণা ও শামসুন্নাহারের চুরি যাওয়া অর্থ দিয়েছে বাফুফে। বাচ্চা মেয়েদের টাকা হারিয়ে গেছে। আমাদের তো একটা দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা তাদের হারানো অর্থ দিয়েছি। এই কারণে যে, মেয়েরা যেন খুশি থাকে। মাহফুজা আক্তার কিরণের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে।’
শামসুন্নাহার সিনিয়রের ৪০০ ডলার হারালেও তিনি পেয়েছেন ১ লাখ টাকা। কৃষ্ণা রানী সরকার ৫০০ ডলার ও ৫০ হাজার টাকা হারিয়েছেন। তাকে দেওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকা। আর সানজিদার ৪০০ ডলার হারালেও তাকে লাখ টাকা মূল্যের আইফোন দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কিরণ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘দায়িত্ববোধ, কর্তব্য ও ভালোবাসা থেকে আমি ওদের অর্থ দিয়েছি। ওরা ছোট। ওদের কাছে এই অর্থ কোটি টাকার মতো। যা হারিয়েছে তার চেয়ে বেশি দিয়েছি মেয়েদের। ওরা যেন বুঝতে পারে ওদের মাথার উপর গার্ডিয়ান আছে।’
হারানো অর্থ ফিরে পেয়ে দারুণ কৃষ্ণা-সানজিদা- শামসুন্নাহাররা। আইফোন হাতে নিয়ে সানিজদা বলেন, ‘আমি খুব খুশি, আমার খুব ভালো লাগছে। স্বপ্ন ছিল আমার যে প্রাইজমানি আছে, সেটার সঙ্গে আরও কিছু টাকা যোগ করে আইফোন কিনবো, এখন সেটা পেয়ে গেছি। তাই খুব খুশি লাগছে।’ কৃষ্ণা বলেন, ‘টাকাটা ফিরে পেয়ে আমি দারুণ খুশি। আজকেই (গতকাল) আমি দোকানে যাবো এবং মায়ের জন্য যে মালাটা দেখেছিলাম, সেটা কিনবো।’ শামসুন্নাহারের কথায়, ‘আমরা যে পরিমাণ অর্থ হারিয়েছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। এতে সত্যিই আমরা খুব খুশি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।