গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর শ্যামলী, আগারগাঁও, গুলিস্তান ও ফার্মগেট এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী ও বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে সুকৌশলে মোবাইল ফোন চুরি করতো একটি চক্র। চুরি করা সেসব চোরাই মোবাইল গুলিস্তান ভাসমান দোকানে বিক্রি করার পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো তারা। ওই চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। শনিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়
গ্রেপ্তাররা হলেন- জসিম উদ্দিন (৩২), আব্দুর রহমান (২৫), শান্ত (২৭), আলম (৩৫), বোরহান উদ্দিন (২৯) রেজাউল (২৩), মামুন তালুকদার (২৮), মামুন মিয়া (৩২), ইসমাইল হোসেন (৩৫), সুমন পাটোয়ারী (২৬), ও সুজন (২৭)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৫টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, নগদ ৩০ হাজার ৪০০ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
রোববার গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মোবাইল চোরচক্রের ওস্তাদ শামীম ও রহমান। চক্রের সাধারণ সদস্য হয়ে কাজ করে জুয়েল ও শান্ত। ওস্তাদ শামীম সপ্তাহে একবার চট্টগ্রাম গিয়ে চোরাই মোবাইল বিক্রি করে আসে। আর রহমান গুলিস্তান ভাসমান মোবাইল বিক্রেতা বোরহানের কাছে বিক্রি করতো।
মধুসূদন দাস বলেন, বোরহান নিজে গুলিস্তানে দোকান দিয়ে বিক্রি করতো। আবার ইসমাইল, মামুন, সুজন, সুমন পাটোয়ারী, রেজাউল ও মামুন তালুকদারের কাছে বিক্রি করতো। এদের সবার গুলিস্তানে ভাসমান মোবাইল বিক্রির দোকান আছে বলে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে ডিবি (লালবাগ) সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়িচুরি প্রতিরোধ টিম শাহবাগ থানার গুলিস্তানের টিএন্ডটি অফিসের বিপরীত পাশে সিটি করপোরেশন পাবলিক টয়লেটের দক্ষিণ পাশে অবস্থান করছিল। পরে পাশেই ফুটপাতের উপর ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তিকে চোরাই মোবাইল কেনা বেচা করা অবস্থায় আটক করা হয়। পরে তাদের থেকে উদ্ধার মোবাইলের কাগজপত্র বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক আসামিরা জানায় মোবাইল ফোনের কোনও বৈধ কাগজপত্র তাদের কাছে নাই।
সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, এসব ফোন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করা। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন স্পট থেকে কৌশলে মানুষের কাছ থেকে মোবাইল চুরি করে আসছে। পরে সেগুলো নানা উপায়ে কেনা বিক্রি করে আসছে তারা। মোবাইল চোরচক্রের সদস্যরা সারাদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি করা মোবাইল নিয়ে রাতে গুলিস্তান সাকিনা মার্কেট সংলগ্ন স্থানে একত্র হয়ে নিজেদের মধ্যে সেগুলো কেনাবেচা করছিল বলে জানিয়েছে তারা।
মমধুসূদন দাস বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের প্রত্যেকের নামে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মোবাইল ফোন চুরিসহ অন্যান্য অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।