নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশে অন্যান্য ক্রীড়া ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দের জন্য আবাসন ব্যবস্থা থাকলেও নেই কুস্তির। ফলে আবাসন ব্যবস্থার অভাবে কুস্তিগীরদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প করতে পারছে না বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশন। তাই ভালো মানের কুস্তিগীরের দেখাও মিলছে না। তারকা খেলোয়াড় তুলে আনতে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের বিকল্প নেই। যার তাগিদ বেশ কয়েকবছর ধরে দিয়ে আসছে কুস্তি ফেডারেশন। দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের জন্য ফেডারেশন কর্তাদের একটি স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থার দাবি দীর্ঘদিনের। ইতোমধ্যে তারা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বরাবর আবেদনও করেছেন। তথ্যটি রোববার নিশ্চিত করেন কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তবিউর রহমান পালোয়ান। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম চত্বরেই আমরা দু’টি জায়গা দেখেছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে আবেদনও করেছি একটি ভবন নির্মাণ করে দেয়ার জন্য।’
নিজস্ব ম্যাট নেই। তাই আজ শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং, তো কাল শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ম্যাট বিছিয়ে খেলা চালাতে হয় ফেডারেশনকে। মাঝে সাঝে কাবাডি স্টেডিয়ামেও খেলতে দেখা গেছে কুস্তিগীরদের। তবে ম্যাট না থাকলেও আবাসন ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছেন কর্মকর্তারা। শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামের পূর্ব দিকে একটি খালি জাগয়া রয়েছে গাড়ী পার্কিংয়ের জন্য। অন্যদিকে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সের উত্তর-পূর্ব কোনে ফুলগাছের বাগান রয়েছে। এই দু’টি জায়গার যে কোন একটিই চাইছে কুস্তি ফেডারেশন। পালোয়ান আরো বলেন, ‘আমরা এই দু’টি জায়গার একটির জন্য আবেদন করেছি। যাতে আমাদেরকে একটি বিল্ডিং করে দেয়া হয়। কারণ কাবাডি ও ভলিবল জায়গা পেতে পারলে আমরা কেন পাবো না?’ ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন আজাদ বলেন, ‘আমরা স্থায়ী আবাসন পেলে কুস্তিকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারবো। কারণ তখন আমরা দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প করতে পারবো। আশাকরি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমাদের একটি স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করে দেবে।’
নানা ঝক্কি-ঝামেলার পরও কিন্তু বসে নেই কুস্তি ফেডারেশন। নিয়মিতই তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আট বিভাগের দু’শ কুস্তিগীর নিয়ে মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে জাতীয় জুনিয়র (বালক ও বালিকা) কুস্তি প্রতিযোগিতা। শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ১৬টি ওজন শ্রেণীতে অনুষ্ঠিত হবে দু’দিন ব্যাপী টুর্নামেন্ট। বালক বিভাগে ৪১-৪৫, ৪৮, ৫১, ৫৫, ৬০, ৬৫, ৭১, ও ৮০ কেজি এবং বালিকা বিভাগে ৩৬-৪০, ৪৩, ৪৬, ৪৯, ৫৩, ৫৭, ৬১, ৬৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে লড়বেন ক্ষুদে কুস্তিগীররা। রোববার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তবিউর রহমান পালোয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।