পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা বলেছেন, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ‘নাই’ (ডিসএপ্যায়ার্ড) হয়ে গেছে। স¤প্রতি ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে ডেলিগেটরা অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে চীন, তুরস্ক, উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমারসহ ১৬টি দেশের সা¤প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার হওয়া মানুষদের কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল হোয়াইট হাউসে। গত ১৭ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন তারা। অভাল অফিসে বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ জন ব্যক্তির সাথে একান্তে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প যখন একে একে সবার বক্তব্য শুনছিলেন তখন প্রিয়া সাহা নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে বলেন- স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানকার ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ‘নাই’ (ডিসএপ্যায়ার্ড) হয়ে গেছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে ও দেশে থাকতে পারছে না। দয়া করে বাংলাদেশি জনগণকে সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। প্রিয়া সাহা আরো অভিযোগ করেন, তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, জমি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আইনি সুরক্ষা পাননি। নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ট্রাম্পের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। ট্রাম্প তখন বলেন, ‘বাংলাদেশ?’ হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়ে বাংলাদেশি এই নারী আরও বলেন, এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ থাকে। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না। সেখানে থাকতে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার জমি ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনও বিচার হয়নি। ট্রাম্প তখন প্রশ্ন করেন, কারা তোমার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে? তখন প্রিয়া সাহা বলেন, মুসলিম মৌলবাদীরা। তারা সবাই রাজনৈতিক আশ্রয় পায় সব সময়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে দেয়া প্রিয়া সাহার নালিশ শোনে যে কারোরই মনে হতে পারে যে, বাংলাদেশে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা চালাচ্ছে ‘মুসলিম মৌলবাদীরা’। আর তাতে মদদ যোগাচ্ছে সরকার। এই অবস্থায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হলে সকল প্রকার অস্ত্রশস্ত্র আমেরিকাকে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই!
কিন্তু প্রিয়া সাহার বক্তব্য যে ডাহা মিথ্যা এবং বাস্তবতার সাথে তার কোনো মিল নেই- সেটি এদেশের প্রতিটি নাগরিক যেমন জানেন, তেমনি তিনি যেদেশের প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে নালিশ করেছেন সেই দেশের দূতাবাসসহ দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক তাদের সকল কর্মকর্তা ভালো করেই জানেন। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বৌদ্ধ মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার সেটি স্বীকারও করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এক বাংলাদেশি সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক বলে মনে করেন না তিনি, বরং বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স¤প্রদায় একে অপরকে শ্রদ্ধা করেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমার প্রথম আট মাসের দায়িত্ব পালনকালে আমি বাংলাদেশের আটটি বিভাগেই ঘুরেছি। মসজিদ, মন্দির ও চার্চে গিয়ে ইমাম, পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আমি এসেছি একটি বৌদ্ধ মন্দিরে, আমার কাছে যেমনটা মনে হয়েছে, এখানকার ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের লোকজন একে অপরকে শ্রদ্ধা করেন। তাই আমি মনে করি, তার (প্রিয়া সাহা) অভিযোগ সঠিক নয়, বরং ধর্মীয় স¤প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য নাম। শুধু তাই নয়, প্রিয়া সাহা যে সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করেন সেই বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নিপীড়নের’ যে অভিযোগ করেছেন তা একান্তই তার নিজস্ব বক্তব্য, সংগঠনের নয়। তিনি আরও বলেন, তার সংগঠন থেকে তিনজন প্রতিনিধিকে ওয়াশিংটনের ওই সম্মেলনে পাঠানো হয়েছিল। পরিষদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অশোক বড়ুয়া ও নির্মল রোজারিও এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জী ছিলন ওই প্রতিনিধি দলে। এর বাইরে তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। প্রিয়া সাহা তাদের সংগঠনের ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের একজন। তবে তিনি ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন না। প্রিয়া যে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন, তা তিনি জেনেছেন শুক্রবার গণমাধ্যম থেকে। একই ধারার আরেকটি সংগঠন স¤প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের প্রিয়া সাহা যেসব কথা বলেছেন, তা বাংলাদেশের হাজার বছরের চেতনা বিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের দর্শনকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করার সামিল। প্রিয়া সাহার বক্তব্য দেশের শুভবোধসম্পন্ন সব মানুষের আবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। সম্প্রীতি বাংলাদেশ প্রিয়া সাহার এই মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ করছে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশের মতো কিছু সংগঠনের নেতাদের বিতর্কিত এবং অতিরঞ্জিত বানোয়াট বক্তব্য বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছে। কিন্তু এবার প্রিয়া সাহার বক্তব্যটি এতটাই অতিরঞ্জিত যে সেটা তাদের সংগঠনের নেতারাও হজম করতে না পেরে এর দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন। দায় এড়াচ্ছেন বলার কারণ হলো, মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট করার পরও এ নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত প্রিয়া সাহাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার বা অন্যকোনো সাংগঠনিক শাস্তি দিতে চান কিনা সেটা জানাননি সংগঠনের নেতারা। তারপরও তাদের পক্ষ থেকে যতটুকু প্রতিক্রিয়া এসেছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই এবং প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশের ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষায় তাদের ভূমিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, প্রিয়া সাহার বক্তব্য শুনেই কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলতে পারেন? মোটেও না। বড়জোর বক্তব্যটির সারবত্তা আছে কিনা সেটি তারা তাদের দূতাবাসসহ অন্যান্য মাধ্যম দিয়ে যাচাই করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মনে করলে কোনো সিদ্ধান্তে আসতেও পারেন। কিন্তু সেটি সুদূরপরাহত। কারণ, বাংলাদেশের বাস্তবতায় এর কোনো ভিত্তি নেই। কোনো কোনো কুচক্রী মহলের ইন্ধনে কিছু দুর্ঘটনা ঘটলেও এখানে হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের মানুষ পরস্পর মিলেমিশে বসবাস করার যে আত্মিক শক্তি অর্জন করেছেন তা এক নিমিষেই উড়িয়ে দেয়া যাবে না। প্রতিবেশী মিয়ানমার সরকার এবং সেদেশের সেনাবাহিনী মিলে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান অব্যাহত রেখেছে। রাষ্ট্রীয় মদদে চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত-আহত হয়েছে। অত্যাচার সইতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিক পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র কথিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গো-রক্ষার নামে সে দেশের মুসলমানদের উপর নেমে এসেছে অকল্পনীয় নির্যাতন। যেখানে সেখানে মুসলমানদের পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। মুসলমানদের বাধ্য করা হচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে ধ্বনি দিতে। তারপরও জীবন রক্ষা হচ্ছে না নিপীড়িত মুসলমানদের। মুসলমানদের পাশাপাশি নবর্ণের হিন্দুরাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে অহরহ। অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছে যে, ভারতের অভ্যন্তরে এবং বাইরে এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে দেশটির সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বিষয়টি সম্পর্কে সম্মক অবহিত আছে। দিল্লিতে উপস্থিত হয়েও এর প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে মার্কিন প্রতিনিধিকে। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূল ঠেকাতে প্রয়োজনে রাখাইনকে স্বাধীন করে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করে দেয়ার মতো প্রস্তাব এসেছে এক মার্কিন কংগ্রেসম্যানের পক্ষ থেকে। এই যখন দুই প্রতিবেশী দেশের অবস্থা তখন বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা রয়েছেন নিশ্চিন্তে। তারা সকলের সাথে মিলে বসবাস করছেন শান্তিতে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের চাকরিতে জনসংখ্যানুপাতের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় তারা কর্মরত আছেন। এমনকি সংসদ থেকে শুরু করে সরকারের সকল পর্যায়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও তাদের রয়েছে ব্যাপক উপস্থিতি ও প্রভাব। এতকিছুর পরও প্রিয়া সাহার উসকানিমূলক বানোয়াট বক্তব্যের পেছনে নিশ্চয় গভীর ষড়যন্ত্র আছে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র নতুন কোনো বিষয় নয়। জন্মলগ্ন থেকেই নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে করতেই এগুতে হচ্ছে দেশটিকে। দেশের ভেতরের এবং বাইরের কিছু মানুষ সব সময়ই এসব ষড়যন্ত্রে যুক্ত থেকেছে বা আছে- তার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তারা উসকানিমূলক বানোয়াট তথ্য প্রচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়, আর সেই অস্থিতিশীল পরিবেশের সুযোগ নিয়ে জনগণের মধ্যকার ঐক্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে খর্ব করতে চায়। ইসকনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে প্রসাদ খাইয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র উচ্চারণ করানো কিংবা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে প্রিয়া সাহাদের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বায়বীয় নালিশ বাংলাদেশ বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী নেতৃত্ব, রাজনীতি এবং গণতন্ত্রও আজ গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। দেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে ষড়যন্ত্র চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এখন আবার যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা সংকট। কুচক্রী মহল রোহিঙ্গাদের উসকানি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হলে এসব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করেই এগিয়ে যেতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্রীদের এবং মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে জনগণের সামনে এদের আসল চেহেরা তুলে ধরতে হবে। ধর্মীয় এবং সম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকলেও দেশের রাজনীতিতে বিদ্যমান মতপার্থক্য ক্রমেই বাড়ছে, এটা জনগণ্যে মধ্যকার ঐক্যকে ক্ষতিগস্ত করছে। এরই সুযোগ নিচ্ছে প্রিয়া সাহাদের মতো কুচক্রীরা। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে সবার আগে। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে এনে সবার মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাটিকে মজবুত করে দিতে পারলে কোনো অপশক্তি বাংলাদেশের ক্ষতি করার স্পর্ধা দেখাবে না, নিপাত হবে প্রিয়াদের মতো ষড়যন্ত্রীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।