পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি দেশের উন্নয়ন চায় না। বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই শক্তি নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রুমানা আলীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার- সেøাগানের মাধ্যমে তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, এমনকি সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানসহ কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সরকারের আমলেই দেশের সব বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নসহ প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার বিপক্ষের অপশক্তি দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য ও অর্জন নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। দেশ যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আমেজে মেতে উঠেছে, ঠিক তখনই সেতু উদ্বোধনকে সামনে রেখে সরকারের এ বড় অর্জন ম্লান করে দিতে একটি চক্র অপপ্রচার, গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সরকারের এতবড় অর্জন থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এবং নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে এ চক্রটি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা তাদের ছাত্র সংগঠনকে দিয়ে এ এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও চেষ্টা করছে।
সরকারবিরোধী এ চক্রটি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করাসহ দেশে বিরাজমান গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের এ অশুভ তৎপরতাকে প্রতিহত করতে সরকার সর্বদা সজাগ রয়েছে। সরকারবিরোধী এ সেøাগান দেওয়া ব্যক্তিদের যেকোনো ধরনের গুজব, অপপ্রচার ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রোধে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যারা দেশে বিশৃঙ্খলা বিঘ্ন সৃষ্টি ও সরকার তথা ১৭ কোটি মানুষের অর্জনকে ম্লান করে দিতে চায় তাদেরকে কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হবে। সরকার দেশের জনগণের জানমাল রক্ষা, আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অপরাধী যেই হোক না কেন, যে দলের হোক না কেন তাদেরকে দমনে সরকার অত্যন্ত কঠোর।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমান অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন করে বাংলাদেশ পুলিশ আইন (খসড়া) করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশকে আরও জনবান্ধব ও সেবামুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাসহ যুগোপযোগী করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।