পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের একমাত্র পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এছাড়া সংগঠনের প্রতিটি শাখায় ও দেশের মসজিদে মসজিদে তাঁর মাগফিরাতের জন্য দোয়া ও মোনাজাতের আবেদন জানানো হয়েছে। এক শোক বার্তায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, সিনিয়ার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা কবি রুহুল আমীন খান জমিয়াতের পক্ষ থেকে এ আবেদন জানান।
শোক বার্তায় জমিয়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দেশের জন্য, মাদরাসা তথা ইসলামি শিক্ষার জন্য, ইসলামের জন্য, বেসকারী শিক্ষক সমাজের কল্যাণের জন্য অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। তাঁর ৯ বছরের শাসনামলে বহু স্মরণীয় কাজ করেছেন। মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, বেসকারী ও সরকরী শিক্ষক, শিক্ষক সমিতির সমন্বয়ে গঠিত শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের তিনি হয়েছিলেন চেয়ারম্যান, যার সেক্রেটারি ছিলেন সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী আলহাজ্ব মাওলানা এম. এ. মান্নান। বেসকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলভ‚ক্তকরণের কৃতিত্ব তাঁর। কুষ্টিয়ায় ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছেন। শাসনতন্ত্রের ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে তিনি ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করে, মসজিদ মাদরাসা ও ধর্মিয় প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যুৎবিল মৌকুফ করে এদেশের ইসলামি জনতার মন জয় করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বৃহত্তম ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের ভাব মর্যাদা সমুন্নত করেছেন। দেশের যোগাযোগ ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান স্মরণীয়। উপজেলা প্রতিষ্ঠা, গুচ্ছগ্রাম ও পথকলি প্রতিষ্ঠা করে গণমানুষের বিশেষ করে অসহায় দরিদ্র শিশুদের লালন পালনের ব্যবস্থা করে দেশের উন্নয়ন ও মানব সেবার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
কবি এরশাদ ছিলেন কোমল প্রাণ ও মানব দরদী, পল্লিবন্ধু। তাঁর শাসন আমলে স্মরণকালের দেশের বৃহত্তম সর্বনাশা বন্যার সময় দুর্গত ও দুস্থ মানবের সেবায় যে দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা অবিস্মরণীয়। ঢাকার মহাখালীতে মসজিদে গাউছুল আজম ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের জন্য ৮ বিঘার মত জমি বরাদ্দ করে এক অনন্য খেদমত করে গেছেন। আলেম সমাজের সাথে, দেশের পীর মাশায়েখদের সাথে, আধ্যাত্মিক দরবারগুলোর সাথে নিবিড় সম্পর্ক্য প্রতিষ্ঠা করে তিনি ইসলামি আদর্শ প্রীতির এক অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন। তাঁর আমলের সেই ভয়াবহ বন্যার সময় তৎকালীন ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী আলহাজ্ব মাওলানা এম এ মান্নান এর মাধ্যমে ভাতৃপ্রতীম আরব দেশসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুর্গত মানুষের ত্রাণের জন্য যে সহায়তা অর্জন করেছিলেন তা এক দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
এই মহৎ হৃদয়, মানব দরদী, ইসলাম প্রিয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট, কবি আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সর্বস্তরের সকল শাখায় তাঁর জন্য দোয়া ও মোনাজাত আয়োজনের জন্য নেতৃবৃন্দ আহবান জানান। এ ছাড়া দেশের সকল মসজিদের কর্তৃপক্ষের নিকটও বিশেষ দোয়া ও মুনাজাতের আয়োজন করার জন্য জমিয়তের পক্ষ থেখে আবেদন জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।