মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বে এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে ‘পা’ ছোঁয়াতে যাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- ‘ইসরো’র ‘চন্দ্রযান-২’। স্থানীয় সোমবার ভোর রাত ২টা ৫১ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশে রওনা করবে, যেখানে এর আগে নামতে পারেনি আর কোনো দেশ। ভারতের এই পদক্ষেপ তাই বিশ্বে প্রথম। চন্দ্রযান-২-এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক বাঙালির নামও। যিনি বানিয়েছেন চন্দ্রযান-২-এর সাতটি অ্যান্টেনা।
দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ন মহাকাশ কেন্দ্র (এসডিএসসি) থেকে ভোর রাত ২টা ৫১ মিনিটে অত্যন্ত শক্তিশালী, সর্বাধুনিক ‘জিএসএলভি-মার্ক-৩’ রকেটের পিঠে চেপে রওনা হবে চন্দ্রযান-২। যাতে থাকবে একটি ‘অরবিটার’, যা চাঁদের বিভিন্ন কক্ষপথে থেকে প্রদক্ষিণ করবে। থাকবে একটি বিক্রম নামের ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান নামের একটি রোভারও। যা চাঁদের পিঠে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে-চরে বেড়াবে। ভারতের আগে মাত্র তিনটি দেশ রোভার পাঠাতে পেরেছে চাঁদে। রাশিয়া (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন), আমেরিকা ও চিন।
ইসরোর মতে, উৎক্ষেপণের প্রায় দেড় মাস পর সেপ্টেম্বরে (৫ তারিখ গভীর রাত ও ৬ তারিখ ভোর রাতের মধ্যে) চাঁদের পিঠে পা ছোঁয়াবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। নামার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে আসবে খুবই ছোট একটি রোভার ‘প্রজ্ঞান’। যার ওজন মাত্র ২০ কিলোগ্রাম। আর চন্দ্রযান-২-এর সার্বিক ওজন ৩ হাজার ৮৫০ কিলোগ্রাম। ল্যান্ডারটি নেমে আসার সময় চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারটি চাঁদের পিঠ (লুনার সারফেস) থেকে থাকবে মাত্র ১০০ কিলোমিটার ওপরে।
চন্দ্রযান-২ পাঠানোর উদ্দেশ্য, চাঁদের পিঠের বালিকণায় মিশে রয়েছে কোন কোন মৌল ও খনিজ পদার্থ আর তা রয়েছে কী পরিমাণে, তা জানা। সেই মৌল বা খনিজগুলো নিষ্কাশনের যোগ্য কি না, তা যাচাই করা। যে স্বপ্নটা প্রথম দেখেছিলেন ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, দক্ষিণ মেরুর দিকেই চাঁদের গভীরে এখনও বয়ে চলেছে পানির ধারা। উল্কাপাত বা অন্য কোনো মহাজাগতিক বস্তু আছড়ে পড়ায় সেখানে একটি বিশাল গর্ত (ক্রেটার) তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এর ফলে চাঁদের গভীরে মৌল বা খনিজ বা পানির খোঁজের কাজটা সহজতর হয়ে উঠতে পারে।
ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান হয়েছিল ২০০৮ সালে। চাঁদের কক্ষপথে গিয়েছিল চন্দ্রযান-১। চাঁদে পানির অন্যতম উপাদান হাইড্রক্সিল আয়নের খোঁজ দিয়েছিল চন্দ্রযান-১।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।