Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় হয়রানি বন্ধে সুদৃষ্টি কামনা

| প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

সরকার দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দেশের নাগরিকদের ভূমি অধিগ্রহণ করেন। এর ক্ষতিপূরণবাবদ নির্ধারিত অর্থ ভূমি মালিককে প্রদান করেন। যা প্রচলিত বাজারদরের চেয়ে অপ্রতুল বলা যায়। তবুও সরকারি বাধ্য-বাদকতার ফলে ভূমি মালিকরা তা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়। এভাবে অনেক মানুষের অর্জিত ও উত্তারাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ভূমি অধিগ্রহণের আওতায় পড়ে নিঃস্ব হবার উপক্রম হয়। তবুও নূন্যতম প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিয়ে জীবনধারণের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়স্থ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর শুরু হয় নতুনভাবে হয়রানি। সেখানে দেওয়ালে দেওয়ালে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের জন্য দালাল ধরে প্রতারিত না হওয়ার জন্য সতর্কবার্তা লেখা বোর্ড থাকলেও দালাল ছাড়া এগোয় না ফাইল। কাগজপত্র সব ঠিক থাকার পরও তারিখ দিয়ে ঘুরানো হয়। অফিসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসা থাকলেও কথা বলা দূরে থাক নূন্যতম সৌজন্য ভূমিকাও সার্ভায়ারগণ দেখায় না। সার্ভায়েরগণ অদৃশ্য কোন ক্ষমতায় ক্ষমতাশালী। সকাল থেকেই ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় তাদের আনাগোনা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ভূমি মালিকের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ঘুষ দেয়ার অবৈধ প্রস্তাব প্রদান করে। হয়রানির শিকার হচ্ছে সর্বসাধারণ। অন্যদিকে দালালরা ১৫% থেকে ১০% পর্যন্ত উৎকোচ দিয়ে স্বল্প সময়ে কাজ করে দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়। সত্যিকারভাবে অল্প সময়ে তারা কাজ করে দিতে সক্ষম। বিশেষতঃ উৎকোচের অংশটি তারা সংগ্রহের জন্য কোতোয়ালি মোড় ও লালদীঘির আশেপাশে কোন ব্যাংকের শাখায় ভূমির ক্ষতিপ‚রণ জমা করা হয় এবং সেখান থেকেই দালালরা তাদের অংশ সংগ্রহ করে নেয়। বেশির ভাগ মানুষ তাদের হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে এভাবেই পথগ্রহণ করেন। যারা তাদের অন্যায্য প্রস্তাবে রাজি হয় না তারা দিনের পর দিন ভুক্তভোগি হিসেবে নীরবে কোর্টবিল্ডিংয়স্থ জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আসা-যাওয়ায় থাকতে হয়। এভাবে গত ফেব্রুয়ারি’১৯ থেকে হয়রানির শিকার আমি ও আমার পরিবার। এখন পর্যন্ত ১০ বার অফিসে গিয়েছি, কোন সমাধান বা অগ্রগতি হয়নি। এসব হয়রানির বিষয়ে উর্ধ্বতন ভূমিকর্তার ভূমিকা কী আমি জানিনা। মাননীয় ভূমি মন্ত্রী ও মাননীয় জেলা প্রশাসক এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, দয়া করে অসহায় মানুষের শেষ সম্বলটুকুর ক্ষতিপূরণের অর্থ তাদের ফিরিয়ে দিন। প্রয়োজনে আপনারা ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সরকারের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে এর সত্যতা নিশ্চয় জানতে পারবেন। 

মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম
আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন