পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসিতে প্রকাশ্যে প্রবীণ এক শিক্ষককে অফিস কক্ষ থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টায় জড়িত একজন ছাড়া অন্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঘটনায় জড়িত ইউএসটিসি শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানের সহযোগিদের ধরতে অভিযান চলছে। খুব শিগগির বাকিরাও ধরা পড়বে।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, অসংখ্য শিক্ষক শিক্ষার্থীর সামনে ওই শিক্ষককে তার অফিস থেকে নামিয়ে আনে হামলাকারিরা। এরপর তার গায়ে কেরোসিন দেয়া হয়। ঘটনায় কারা জড়িত তা সবাই জানে। অথচ পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানকে ফোন করে ঘটনা জানতে চান উপমন্ত্রী। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, উপমন্ত্রী এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার নেপথ্যে কারা আছে তাদেরকেও চিহ্নিত করতে বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা জোরালো অবস্থানে আছি। এর পেছনে কারা, আমরা খুঁজে বের করছি। মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। একজন শিক্ষকের সাথে এ ধরনের আচরণ মেনে নেয়া যায় না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ যে অ্যাকশন নিয়েছে তাতে তিনি (উপমন্ত্রী) সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি এর নেপথ্যে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। গত মঙ্গলবার দুপুরে ইউএসটিসির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষ থেকে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বের করে নিয়ে আসে। পরে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় এবং গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
মাসুদ মাহমুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেয়ার পর ইউএসটিতে ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন বছর খানেক আগে। এ ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানকে মঙ্গলবার গ্রেফতারের পর বুধবার তাকে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূত্রপাত দুই মাস আগে। তিনি নিয়মিত ক্লাসে হাজির না থাকায় ২০ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অনুমতি দেননি। ইংরেজি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুতসহ অনিয়মের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থাও নেন তিনি। এ কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তার বিরুদ্ধে কথিত যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসে অবরোধ বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাদের সরাসরি সমর্থন দেয় ছাত্রলীগের একটি অংশ।
আন্দোলনকারিরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা উপমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দেন। স্মারকলিপি দেয়ার পর উপমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের কোন সত্যতা পাননি। আর এর মধ্যেই ওই শিক্ষককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।