Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কড়াইল বস্তিতে খুনোখুনির নেপথ্যে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ ও কমিটি : ডিবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২২, ১২:০২ এএম

স্থানীয় দুটি গ্রুপ বনানীর কড়াইল বস্তিকেন্দ্রিক ৪০ হাজার ঘরের ভাড়া তোলা, চাঁদাবাজি, অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। সেখানে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর খুনের ঘটনা ঘটছে। ডিবি বলছে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল কাদের খান ও স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান গ্রুপ দুটি নিয়ন্ত্রণ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বস্তির প্রতিটি ঘর থেকে আট থেকে দশ হাজার টাকা ভাড়া তোলা হয়। ফ্রিজ ও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করার জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। এ সবকিছুই বস্তির দুটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর সেখানে খুনের ঘটনা ঘটে।
গত বুধবার বস্তিতে আওয়ামী লীগের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী আল আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। গত ৩০ জুলাই কড়াইল বস্তির এক নম্বর ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আবদুল কাদের খানের অনুসারী মোহাম্মদ আলী ও নুর গ্রুপের লোকজন গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। অন্যদিকে, মফিজুর রহমানের অনুসারী জুয়েল ও রিপন গ্রুপের লোকজন কম গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। এ কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করেই বস্তির এরশাদ মাঠ এবং নুরানি মসজিদ এলাকায় নুরু, কবির, আলীসহ কয়েকজনের সঙ্গে রিপন-জুয়েল-শুভদের মারামারির ঘটনায় আল আমিন নিহত হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কড়াইল বস্তিতে খুনোখুনির নেপথ্যে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ ও কমিটি : ডিবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ