Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ব্রেক্সিট নায়ক নাইজেলের নেপথ্যের ঘটনা

প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চূড়ান্ত রাজনৈতিক সফলতা কী সেটা দেখিয়ে দিয়েছে ইউনাইটেড কিংডম ইনডিপেনডেন্ট পার্টি (ইউকেপি) নেতা নাইজেল ফারাজ। ২০১৫ সালের ব্রিটেনের নির্বাচনে মাত্র ৪০ লাখ ভোট পাওয়া এই দলটিই শেষপর্যন্ত ইইউ ছাড়তে বাধ্য করলো দেশটিকে। দীর্ঘ ব্রেক্সিট উল্লেখযোগ্য পাঁচটি ঘটনা হলো ২০১৫ সালে প্রথম গণভোটের কথা সামনে আনেন ইউকেপি প্রধান নাইজেল ফারাজ। ২০১৫ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার বিষয়ে আমাদের কোনো গণভোট হয়নি। আমাদের প্রয়োজন আরেকটি গণভোট করা। জনপ্রিয়তা হারাতে থাকায় ২০১৫ সালে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে ডেভিড ক্যামেরন প্রতিশ্রুতি দেন গণভোটের। ডেভিড ক্যামেরন ও তার দল কনজারভেটিভ পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি ব্রেক্সিটের বিপক্ষে প্রচারণা চালান। ব্রেক্সিটের পক্ষে মূল প্রচারণা চালান ইউকেপি, কনজারভেটিভ এবং লেবারের কিছু রাজনীতিবিদ। এসব কারণে ব্রেক্সিটের নেপথ্য নায়ক হিসেবে মনে করা হয় নাইজেল ফারাজকে। খবরে বলা হয়, রাজনীতিবিদরা ভুল আর ক্ষুদ্র স্বার্থের মত বদলালেও সাধারণ জনগণ যে কখনো ভুল করে না তা আরও একবার প্রমাণিত হলো ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার ঘোষণার মাধ্যমে। গত বৃহস্পতিবার পুরো দেশজুড়ে আয়োজিত গণভোটে এই ফলাফল আসে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলসহ মূলধারার প্রভাবশালী রাজনীতিকদের অর্থনৈতিকভাবে সংকটাপন্ন ইউরোপে থাকার শত প্রচেষ্টাকে পরাজিত করে শুক্রবারের প্রকাশিত ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন ব্রেক্সিট সমর্থকরা। এই বিজয়ে বড় ভূমিকা ছিল ব্রিটেনের মূলধারার সংবাদপত্র আর মিডিয়ার। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইউরোপে থাকার শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে দেশের বয়োবৃদ্ধদের ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন। সে সময় দেশটির মিডিয়া খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেয়। বিবিসি, রয়টার্স, গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রেক্সিট নায়ক নাইজেলের নেপথ্যের ঘটনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ