Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় কব্জি কেটে দিলেন মাদ্রাসাশিক্ষক!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৯, ৭:১৭ পিএম

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মাদ্রাসার ছাত্রীদের উত্যক্ত করার কারণে এক মাদ্রাসাছাত্রের হাতের কব্জি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে, সাব্বির তার কয়েকজন বখাটে বন্ধুদের নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিলো।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মাদ্রাসার ছাত্রীদের উত্যক্ত করা ও শিক্ষকদের চেয়ারে বসার কারণে এক মাদ্রাসাছাত্রের হাতের কব্জি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই ছাত্রকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, গত ১২ জুন উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের নারিকেল বাড়িয়া জাফরাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. সাব্বির হোসেনের (১৪) কব্জি কেটে দেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ফোরকান হোসেন।

আহত সাব্বির নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. আবদুল আলিমের ছেলে এবং শিক্ষক ফোরকান হোসেন একই এলাকার মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে।

জানা যায়, গত ১২ জুন (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে জাফরাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার একটি শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহত সাব্বিরের চিকিৎসার ভার নেন এবং স্থানীয়ভাবে মিমাংসার আশ্বাস দেন ওই শিক্ষক। কিন্তু আট দিন পর শিক্ষার্থীর ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দিলে গত শুক্রবার রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত সাব্বিরকে ভর্তি করে তার পরিবার।

চিকিৎসাধীন সাব্বির হোসেন অভিযোগ করে জানায়, মাদ্রাসার দরজা-জানালা না থাকায় ঘটনার দিন সে দুই বন্ধুকে নিয়ে একটি শ্রেণিকক্ষে চেয়ারে বসেছিল। এ সময় ওই শিক্ষক চেয়ারে বসার কারণে তাদের গালি দেন এবং চড়-থাপ্পড় মারেন। এক পর্যায়ে হাতে থাকা দা দিয়ে কোপ দিলে সাব্বিরের বাম হাতের কব্জি কেটে যায়।

সাব্বিরের মা তাসলিমা বেগম জানান, শিক্ষকের দায়ের কোপে আহত হওয়ার পর তার ছেলেকে স্থানীয় ফার্মেসিতে চিকিৎসা করানো হয়। পরে ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়।

স্থানীয়দের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে, সাব্বির তার কয়েকজন বখাটে বন্ধুদের নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিলো। ঘটনার দিনও বন্ধুদের নিয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের চেয়ারে বসে ছাত্রীদের উত্যক্ত করছিলো।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক ফোরকান হোসেন জানান, তিনি সাব্বিরকে কোপ দেননি। ঘটনার দিন মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। মাদ্রাসার পাশের একটি সবজি ক্ষেতে তিনি কাজ করছিলেন। তখন মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষকদের চেয়ারে বসে টেবিল চাপড়িয়ে গান-বাজনা করছিল সাব্বির ও তার দুই বন্ধু। সাব্বিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার ছাত্রীদের উত্যাক্তের অভিযোগ থাকায় সেখানে গিয়ে সাব্বিরকে চলে যেতে বললে সাব্বির ও তার বন্ধুরা চড়াও হলে কথাকাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার হাতে থাকা দায়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে সাব্বিরের হাত কেটে যায়। সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত সাব্বিরের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ তিনি বহন করবেন।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, 'এমন কোনো ঘটনার খবর শুনিনি। লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ আসেনি। তবুও এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।'



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ