Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড. মুরসির মৃত্যুর তদন্ত চায় বিশ্ব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৯, ২:১০ পিএম

রাজধানী কায়রোর আদালতে বিচার চলাকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিসরের প্রথম প্রেসিডেন্ট ডক্টর হাফেজ মুহাম্মদ মুরসি (৬৭)। কিন্তু এ মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না বিশ্বের মানুষ। দেশটির স্বৈরশাসক সরকার মুরসির মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।

বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে, যা অনেকেই ‘গুপ্তহত্যা’র সঙ্গে তুলনা করছেন। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে একটা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে মিসরের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।

সোমবার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’র এক বোগাস ও ভিত্তিহীন অভিযোগে তার বিচার চলছিল। মুরসির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সারাবিশ্বে হইচই পড়ে যায়।

খ্যাতনামা অধিকার আইনজীবী খালিদ আলি

তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চিকিৎসায় অবহেলা ও ২৪ ঘণ্টাই নির্জন কারাগারে ফেলে রাখাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। মুরসির বিশ্বাসের সঙ্গে আপনার মিলুক আর না মিলুক, আটকের পর থেকে কারাগারে তাকে যে অবস্থায় রাখা হয় তাতেই শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়েছে। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং অবশ্যই শাস্তিযোগ্য।

আরব নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস

মুরসি সিসির ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের একমাত্র শিকার নন। কিন্তু এখানেই যেন ক্ষান্ত হন সিসি।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ

সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুরসির হঠাৎ মৃত্যুর খবর আমাদের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। আমি তার পরিবার ও ভ্রাতৃপ্রতীম মিসরীয় জনগণের সঙ্গে শোক প্রকাশ করছি।

মিসরের রাজনীতিক আয়মান নুর

গত ছয় বছর ধরে যাবতীয় অন্যায়, অবিচার ও নিপীড়ন সহ্য করে অবশেষে শহীদ হয়েছেন মুরসি। তাকে আসলে ইচ্ছাকৃতভাবে ও ধীরে ধীরে হত্যা করা হয়েছে। এর জন্য সিসি ও তার স্বৈরশাসনই দায়ী।

ব্রাদারহুডের সিনিয়র নেতা এএমআর দারাজ

মোহাম্মদ মুরসিকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। সিসি সেই খুনি। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও স্বাধীন বিচার করতে হবে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

মুহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতে মিসরীয় জনগণ, তার পরিবার ও প্রিয়জনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ

পর্যাপ্ত চিকিৎসসেবার অভাব, আইনজীবীর অধিকার ও পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার অধিকার খর্ব করাসহ মুরসির বন্দিত্ব নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ ছিল। তাকে বরাবরই নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে এর তদন্ত করতে হবে।

জর্ডানের ইসলাম অ্যাকশ ফ্রন্ট পার্টির নেতা মুরাদ আদায়লাহ

সরকারের হাতে শহীদ হয়েছেন মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মুরসি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

বন্দিদের নির্জন কারাগারে বন্দি রাখা ও অব্যাহত নিপীড়ন চালানোর পুরনো রেকর্ড রয়েছে মিসরের সরকারের।

নোবেলজয়ী তাওয়াক্কুল কারমান

গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মুক্তির মহান সাধক মুরসির মৃত্যুতে আমার নিজের ও পৃথিবীর সব স্বাধীন মানুষের পক্ষে শোক জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিশর

২ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ