নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খেলার মাঠে প্রতিটি ম্যাচই নতুন, প্রতিটি দিনই নতুন দিন- এখানে অতীতের কোনো সুখ স্মৃতি বিন্দু পরিমাণ কাজে আসে না। সে সব শুধু অর্জনের খাতাতেই লেখা হয়, মাঠে ফিরে আসে না। আজ মাঠে নামার আগে ১০-২০টা ম্যাচ টানা জয়ের রেকর্ড গড়ে ফেলতে পারেন আপনি, কিন্তু দিনশেষে কি ঘটবে তা বিন্দু পরিমাণও জানা নেই আপনার।
সুতরাং, খেলাধুলার ক্ষেত্রে প্রতিটি ডিসিপ্লিনেই শক্তিশালী-বড় কোনো দল হলেও, তারা বলে থাকে প্রতিটি ম্যাচই তাদের কাছে নতুন। প্রতিটি দিনই তাদের কাছে নতুন দিন। প্রতিটি ম্যাচকেই তারা নতুন ম্যাচ বিবেচনা করেই খেলতে নামেন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও এর ব্যতিক্রম নন।
মাশরাফি সব সময়ই অতীত ভুলে থাকতে চান, ‘অতীতের স্মৃতি, অতীতের পারফরম্যান্স জয়, সাফল্য এগুলো শুধু মনোবলকে চাঙ্গা করতে পারে; কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স কখনোই অতীত এবং আগের ম্যাচের ভালো খেলা থেকে আসে না। কারণ প্রতিটি ম্যাচই নতুন এবং নতুন করেই সব কিছু শুরু করতে হয়।’ মাশরাফি এ কথাটা সব সময়ই বলে থাকেন।
টনটনের সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন এক অবিস্মরণীয় জয়ের পরও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার ঠিক ২০ ঘণ্টা আগে মাশরাফির মুখে ঘুরে-ফিরে সেই পুরনো কথারই পূনরাবৃত্তি। টাইগার দলপতি মানছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন এক বর্ণিল জয় আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং মনোবল চাঙ্গা রাখতে অবশ্যই ভূমিকা রাখছে; কিন্তু তার সাথে মাঠের পারফরম্যান্সের কোনো মিল নেই। মাঠে ভালো খেলতে হবে। সেটাই (মাঠের পারফরম্যান্স) আসলে শেষ কথা।
ট্রেন্ট ব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেরদিন, গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শুরু হয় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। তার আধাঘণ্টা আগে, দুপুর দেড়টায় মিডিয়ার মুখোমুখি হন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। সেখানেই সবার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার একটা তুলনামূলক চিত্র দাঁড় করাতে হলো মাশরাফিকে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়, আমরা টন্টনে ক্যরিবীয়দের বিপক্ষে অনেক ভালো খেলেছি। সাকিব ছিল দুর্দান্ত। তামিম-সৌম্যও খুব ভালো শুরু করে দিয়ে গিয়েছিল। লিটন ব্যাটিং করেছে অসাধারণ। তাই আমরা ৩২১ রান টপকে জিতেছি।’
তবে মাশরাফি মনে করেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই জয় কোনোভাবেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। সেই জয়ের কারণে এই ম্যাচেও বাংলাদেশ যে জিতে যাবে, তারও কোনো কারণ নেই। দেশসেরা অধিনায়ক বলেন, ‘সেই জয়ে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) আত্মবিশ্বাস আর বাড়ানো মনোবলটাই শুধু এই ম্যাচে কাজে দেবে। আমার মনে হয় না, ওই ম্যাচের পারফরম্যান্সের কোনো প্রভাব কালকের (আজ) ম্যাচে পড়তে পারে। ওই ম্যাচে জয়ের কারণে শুধু আত্মবিশ্বাসটা বেড়েছে। মনোবলটাও থাকবে চাঙ্গা। এছাড়া অন্য কোনো কিছুর প্রভাব কালকের ম্যাচে পড়বে বলে মনে হয় না আমার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।