Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সম্ভাবনাময় গঙ্গামতি সৈকত

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

গঙ্গামতি। অপার সম্ভাবনায়ময় আরেকটি পর্যটন কেন্দ্রের নাম। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার মাত্র তিন কিলোমিটার পূর্বে এর অবস্থান। গঙ্গামতি সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মনলোভা দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় করছে শতশত পর্যটক।

কিন্তু ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আর ২ কিলোমিটার প্রস্থের এই সৈকতে যাওয়ার প্রবেশ দ্বারের রাস্তাটি এখন সমতল ভ‚মিতে পরিণত হয়েছে। আসা যাওয়ার সড়কটির এমন বেহাল দশার ফলে প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা দ্বিতীয়বার আসতে অনিহা প্রকাশ করে এ সৈকতে। রাস্তাটি সংস্কারে উর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে পর্যটকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নে গঙ্গামতি সৈকতের অবস্থান। এখানে রয়েছে বিশাল আয়তনের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ইতোমধ্যে পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে স্থাপন করা হয়েছে সুপেয় পানির ২টি টিউবওয়েল, ২টি বাথরুমসহ পিকনিক স্পট। এছাড়া এখানে গড়ে উঠেছে পর্যটক নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পর্যটকরা দিনের আলোয় সবটুকু সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখন ভিড় করছে এ সৈকতে। এতকিছুর পরও এ সৈকতের প্রবেশদ্বারের রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে উদাসীন।
স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, গঙ্গামতি সৈকতের বালুতটে লাল কাকড়ার লুকোচুরি দূর থেকে দেখলে মনে হবে পর্যটকদের অভ্যর্থনার জন্য যেন সৈকত জুড়ে লাল কার্পেট বিছিয়ে রাখা হয়েছে। পর্যটকদের এত সৌন্দর্য উপভোগ করার একমাত্র অন্তরায় হচ্ছে সৈকতে প্রবেশের রাস্তা। এই রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার বা পাকা করা হলে পর্যটকদের পদচারনা অনেকগুন বেড়ে যাবে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মহিউদ্দিন মাছুম বলেন, জোয়ারের সময় কুয়াকাটা সৈকত পানিতে তলিয়ে থাকায় গঙ্গামতি সৈকতে পর্যটকদের পদচারনা ক্রমশ বাড়ছে। সূর্যোদয় সূর্যাস্তের মত মনোরম দৃশ্য উপভোগ ছাড়াও সৈকতের বালুকা বেলায় লাল কাকড়ার নৃত্য ও প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য আমাকে তৃতীয় বার এখানে টেনে এনেছে। তবে প্রবেশদ্বারের রাস্তাটির বেহাল দশায় পর্যটকদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে।

গঙ্গামতি বীচের দোকানী মো. ইউসুফ আলী খান জানান, আজ পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা হয়নি। রাস্তা পাকা না হওয়ায় ব্যবসায়ী ও জেলেসহ পর্যটকদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল আকন জানান, বালি দিয়ে রাস্তাটি কোন মতে মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু ইটের গাইডওয়াল না দিতে পারায় রাস্তাটি সমতল ভ‚মিতে পরিণত হয়েছে। ইট দিয়ে রাস্তা করার মত বরাদ্ধ ইউনিয়ন পরিষদের নেই বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলৗ মো. আবদুল মান্নান জানান, গঙ্গামতি সৈকতের প্রবেশদ্বারের কাচা রাস্তাটি পাকা করার স্কিম পাস হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সৈকত

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৪ জানুয়ারি, ২০২২
৮ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ