Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাঙনে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সৈকত

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভাঙন রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেই, ইসি এলাকায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর

সৈকতে ভাঙন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বেড়ীবাধ নির্মাণ করা হবে : পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব


গত কয়েকদিনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগর অস্বাভাবি উত্তাল হয়ে উঠেছে। যার প্রভাবে কক্সবাজার সৈকতজুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। সৈকত রক্ষায় ও সরকারি-বেসরকারিভাবে দখলে সৈকতের বেহাল দশা হলেও এর জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সৈকত। এছাড়াও ইসি এলাকায় কার্যকর হচ্ছেনা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে পর্যটনে বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেও বাস্তবে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
তবে গতকাল শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন পরিদর্শনে আসে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।
তিনি জানান, নাজিরার টেক থেকে মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত ৫ কি.মি এলাকায় ৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বেড়ীবাধ নির্মাণ করা হবে। এই বেড়ীবাঁধে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। আগামী শুষ্ক মৌসুমে এই কাজগুলো শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমদ জানান, বর্তমানে অস্থায়ী ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউবের যে কাজ চলমান রয়েছে তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ সম্ভব নয়। তাই সৈকতের ভাঙন ঠেকাতে মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের লাবনী, ডায়াবেটিস হাসপাতাল, ইসলামিয়া বালিকা কামিল মাদরাসা, হিমছড়ি পয়েন্ট ও টেকনাফের সাব্রাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্টজোন এলাকায় ভাঙন দেখা যায়। এছাড়া হিমছড়ি এবং সাব্রাং এলাকায় সাগরের করাল গ্রাস থেকে মেরিন ড্রাইভ রক্ষায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিছু কিছু জায়গায় ট্রিট্টা ব্লক এবং জিওব্যাগে বালু ভর্তি করে চেষ্টা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কক্সবাজার উপকূলে কয়েকদিন ধরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত অব্যাহত আছে। লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সাগর উত্তাল এবং জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। উচ্চ জোয়ারের আঘাতে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ঝুঁকির মুখে পড়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের স্থাপনা। জোয়ারের তুড়ে যেকোন মুহুর্তে ভেঙে পড়তে পারে ওই স্থাপনাটি।
সৈকতের কিটকট (ছাতা) ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, উচ্চ জোয়ারের কারণে প্রতিদিন ৬ বার করে ছাতা সরিয়ে নিয়ে শুকনো স্থানে রাখতে হচ্ছে। আর জোয়ারের পানিতে একের পর এক বালিয়াড়ি ভেঙে যাচ্ছে। লাবণী পয়েন্টের লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ জহির বলেন, এত উচ্চ জোয়ার আর কোন বছর দেখিনি। এবছর সর্বোচ্চ জোয়ারের পানি আঘাত করছে উপকূলে। যার কারণে সৌন্দর্যহীন হয়ে পড়ছে সৈকত। কয়েকজন শিক্ষার্থী দলবেধে লাবণী সৈকতে নেমেছিল। কিন্তু জোয়ারের কারণে জিও ব্যাগ তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে ইটের রাস্তা ভেঙে গেছে। যার ফলে সাগরের নোনাজলে নামতে গিয়ে হোচট খেয়ে তাদের দুই বন্ধু পড়ে গেছে। এরকম ভাঙনের দৃশ্য আগে কখনও সৈকতে এসে দেখেনি তারা।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা বলেন, সারাবিশ্বের ন্যায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কক্সবাজারও পড়ছে। তাই সৈকতের তীব্র ভাঙন রোধে পরিবেশবান্ধব কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। কক্সবাজার পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমদ বলেন, প্রাথমিকভাবে সৈকতের ইসলামিয়া বালিকা মাদরাসা পয়েন্ট থেকে লাবণী পয়েন্টের কিছু অংশ জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কিভাবে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা যায় তার দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে শুরু করে মাদরাসা ও ডায়াবেটিক পয়েন্টে শত শত ঝাউগাছ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। সেখানে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হলেও তা কোন কাজে আসছে না। তাই সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষায় ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। জানা যায়, সৈকত এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওই এলাকায় যেকোন ধরনের স্থাপনা নিষিদ্ধ করে এবং সেখানে ইতোমধ্যে স্থাপিত স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করেনি কক্সবাজার কর্তৃপক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙনে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সৈকত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->