পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের ঝিলনজা, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টসহ সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ওপর স্থিতিবস্থা (স্ট্যাটাস-কো) প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে ওই এলাকায় নির্ধারিত সীমানা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো বাধা রইলো না। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এই উচ্ছেদ আদেশ বাস্তবায়ন করবেন।
আদালত অবমাননা রুলের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আদেশের বিষয়ে তিনি জানান, ২০১১ সালের ৭ জুন মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) কক্সবাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চেয়ে রিট করে। শুনানি শেষে সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ দেন। কিন্তু ওই আদেশ কার্যকর না হওয়ায় পরবর্তীতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা রুল জারি করা হয়। রুলের শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে সৈকত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রকল্প নির্মাণ বন্ধ রাখতে নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর সাইদ আহেমেদকে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) পক্ষে এ নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। জেলা প্রশাসককে তলব করা হয়। এ প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আদালতে উপস্থিত হয়ে বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ওপর হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা (স্ট্যাটাস-কো) থাকার কারণে কোনো ধরণের পদক্ষেপ নিতে পারছি না। এ প্রেক্ষিতে গতকাল আদালত অবমাননা রুলের শুনানি নিয়ে স্থিতিবস্থা প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে এখন সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আর কোনো বাধা রইলো না।
মনজিল মোরসেদ শুনানিতে বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, মেয়রের যোগসাজশে দোকান মালিকদের কাছ থেকে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আর সরকারে কোষাগারে দোকান প্রতি কয়েক হাজার টাকা জমা দিচ্ছেন। অথচ আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রাখতে ও কক্সবাজারের ঝিলনজা মৌজায় নির্মিত স্থাপনার প্রকল্প বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শুনানিতে আরও বলা হয়, ১৯৯৯ সালে কক্সবাজার-টেকনাফ সৈকত এলাকার ঝিলনজা মৌজাকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। পরে হোটেল-মোটেল জোন এলাকার কিছু স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা দিলে হোটেল মালিকরা রিট করলে সেটি খারিজ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ‘পাবলিক ট্রাস্ট’ ঘোষণা করে সমুদ্র সৈকত রক্ষার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে আপিল হলে তাও খারিজ হয়। এছাড়া তিনটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করলে সেগুলোও খারিজ হয়ে যায়। অপরদিকে ২০১১ সালের ৭ জুন অপর এক রায়ে কক্সবাজার সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সমুদ্র তীরে শত শত কোটি টাকার নির্মাণ প্রকল্প শুরু করে। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে কক্সবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির সাইদ আহমেদকে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।