Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজার পর্যটন শিল্প নিয়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্র

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সম্প্রতি কিছু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের সুনাম বিনষ্ট হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটে একজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটন শহর খ্যাত কক্সবাজারের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যটন শিল্প হুমকির মুখে পড়ার আশংকার কথা জানালেন বিশিষ্টজনরা।

কক্সবাজারে বিগত সময়ে কর্মরত একজন থানার অফিসার ইনচার্জ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উত্তর বঙ্গের তার কর্মস্থল জেলার অনেকেই জানতে চেয়েছেন কক্সবাজার যাওয়া যাবে কিনা। এই জেলা থেকে অনেকেই ইংরেজী নববর্ষ উদযাপন করতে কক্সবাজার যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। পরিবার নিয়ে কক্সবাজার যেতে ভয় পাচ্ছেন অসংখ্য লোক। যেটি কক্সবাজার পর্যটন খাত চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে সবকিছু শতভাগ দেখার সুযোগ হয় না। তবে এমন ঘটনা ঘটলে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

রেজাউল করিম নামের একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন ‘কক্সবাজার বেড়াতে যাবেন সতর্ক হউন’ কক্সবাজার এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, অনিরাপদ এবং মগের মুল্লুক পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। এতে একটি মহল পর্যটককে কক্সবাজার বিমুখ করতে আরো উৎসাহিত হয়ে কাজ করছেন। যার ফলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিরোধী প্রচারণা বেড়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত পছন্দনীয় এলাকা সুগন্ধা পয়েন্টে প্রকাশ্যে একজনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। ওই দিন শত শত পর্যটক এই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছে। সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবারের ঘটনা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের মর্যদা ম্লান করেছে। এখবর শুনে অনেক পর্যটক দম্পতি আতংকিত হয়ে পড়েছেন। হোটেল থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। ধর্ষণের ঘটনাটির মধ্যে অনেক রহস্য আছে। সঠিক তদন্ত করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। বিষয়টি উদঘাটন করে প্রকাশ করা প্রয়োজন। না হয় কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে পর্যটকরা বিব্রত হতে পারে।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শফিউল আলম জানান, ওই মহিলাকে হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার করলেও তাকে হোটেলে নিয়ে গেল কিভাবে, তা রহস্য ঘেরা? তাকে জোর করে হোটেলে নিলে নিশ্চই হোটেল কর্তৃপক্ষ জানতেন। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। এতে মনে হয় এটি কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের জন্য গভীর ষড়যন্ত্র। এছাড়া ভুক্তভোগীর স্বামী যেভাবে অভিযোগ করছেন তা রহস্যজনক। এদিকে ওই মহিলাকে কোন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তা নিয়ে ধুয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। মহিলা ও স্বামীর বক্তব্যের মাঝেও রয়েছে বিভ্রান্তি।
র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করা হয়েছে। গগৃহবধূকে উদ্ধারের পর ছায়া তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দু’জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার সৈকত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ