মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসীম মুনীরকে সরিয়ে ইন্টার সার্ভিস ইন্টালিজেন্স অর্থাৎ আইএসআই-এর প্রধানের দায়িত্বে এলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ৷ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রেস শাখার বরাতে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন ও জি নিউজ।
পাকিস্তানে সবচেয়ে প্রভাবশালী সেনাবাহিনী। দেশ স্বাধীনের ৭১ বছরের মধ্যে তারা প্রায় অর্ধেকটা সময় ক্ষমতায় ছিল। এমন কি বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তারা অতিরিক্ত ক্ষমতা ভোগ করেছে। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধানের পদ পাকিস্তানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর অন্যতম।
মনে করা হচ্ছে, জেনারেল ফয়েজ হামিদের অভিজ্ঞতার ওপর ভরসা করেই তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ হামিদ এপ্রিলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি পান। তাকে জেনারেল হেডকোয়ার্টারে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে তিনি আইএসআইয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগে কাজ করেছেন। ধারণা করা হয়, তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কমর বাজওয়ার ঘনিষ্ঠ। ২০১৮ সালের ১০ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেনারেল হামিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের কিছু অভিযোগের জবাবে আসিফ গফুর বলেন, মানুষ জেনারেল ফয়েজ হামিদের নাম নিতে শুরু করেছে। তারা সম্ভবত তার ভূমিকা সম্পর্কে জানে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার ডিপার্টমেন্ট যে ভূমিকা পালন করেছে তা চিন্তাও করতে পারবেন না। এমনকি সত্য সম্পর্কে যদি অনুমান করার চেষ্টা করেন, তাহলে তার প্রতিষ্ঠান ও জেনারেল ফয়েজ যতটুকু করেছেন তার শতকরা ৫ ভাগও জানতে পারবেন না। যেসব সন্ত্রাসী হামলাকে রুখে দেয়া হয়েছে, তা সম্ভব হয়েছে জেনারেল ফয়েজের ডিপার্টমেন্টের কারণে।
জেনারেল ফয়েজ হামিদের নাম প্রথম জনগণের চোখে ধরা পড়ে যখন তিনি ২০১৭ সালের নভেম্বরে ফয়েজাবাদে একটি ধর্মীয় গ্রুপের ধরণা তুলে নিতে সহায়তা করেন। এরপর ওই গ্রুপটি নির্বাচনী আইন ২০১৭ সংশোধনের বিরুদ্ধে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।
জেনারেল হামিদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বেলুচ রেজিমেন্টের। তাকে অত্যন্ত কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে এ দায়িত্ব নিতে হচ্ছে, যখন পাকিস্তানের ওপর দেশের ভিতরে ও বাইরে থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, তার যে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা, তা ব্যবহার করে ওইসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সহায়ক হবে আইএসআইয়ের। এখানে উল্লেখ্য, আইএসআইয়ের ডিজি বা মহাপরিচালক নিয়োগ দেয়ার বিশেষ ক্ষমতা আছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। সেনাপ্রধানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
ফয়েজ হামিদের পূর্বসূরি অসীম মুনির এ পদে মাত্র ৮ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে আইএসআইয়ের প্রধান হিসেবে সবচেয়ে কম সময় দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে তিনি অন্যতম হয়ে থাকবেন। কাশ্মীর সংক্রান্ত ইস্যুগুলি সম্পর্কে মুনীর অবগত থাকায় তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনা হয়েছিল৷ আইএসআই প্রধানের দায়িত্বে আসার আগে মুনীর পাক সেনার উত্তর এলাকার কমান্ডার ছিলেন৷ তবে পুলওয়ামা হামলার পরে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তান৷ ক্রমস দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় ইমরান খানের সরকার এবং পাক সেনার৷ জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে গত মে মাসে নিরাপত্তা পরিষদ গ্লোবাল টেররিস্ট তকমা দেয়৷ প্রশ্ন উঠছে, পুলওয়ামার পরেই কী তাহলে চাপে পড়ে মুনীরকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান, প্রশ্ন উঠছে৷
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।