পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পাহাড়ে এখনও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অ্যাক্টিভ আছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, আইএসআই ১৯৬৯ সালে পাহাড়ে (পার্বত্য চট্টগ্রাম) হান্টিং গ্রাউন্ড স্থাপন করে পাহাড়ি মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এরপর প্রায় চার যুগ অতিক্রম করলেও কাজের ধরন পরিবর্তন করে আজও তারা পাহাড়ে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছে। গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনে বিআইআইএসএস আয়োজিত ‘জাতীয় উন্নয়নে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যথাযথ সম্পৃক্তিকরণের ক্ষেত্র তৈরিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। বক্তৃতা করেন প্রফেসর ড. মেজবাহ কামাল, মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশিদ, মেজর জেনারেল (অব) আবদুর রহমান প্রমুখ।
এইচ টি ইমাম বলেন, কাপ্তাই হাইড্রোলিক পাওয়ার পাম্প প্রতিষ্ঠা করার সময় পাহাড়ি মানুষ তাদের বিরোধিতা করেন। ওই কাপ্তাই হ্রদের ৪৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে যায়। তলিয়ে যায় জনপদ, জীবন-জীবিকা, আবাদী জমি এবং মনুষ্যত্ব। এই সব প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য আইএসআই-আর্মি পাহাড়িদের বিরুদ্ধে অ্যাকটিভ ছিল। উদ্বাস্তু এইসব মানুষ শেষ পর্যন্ত ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতা-পূর্ব আইএসআই পাহাড়িদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতো। এখন আইএসআই অপতৎপরতার ধরন বদলেছে। তারা পাহাড়ি-পাহাড়িতে বিভেদ সৃষ্টি, পাহাড়ি-বাঙালি দ্বন্দ্ব তৈরি এবং স্থানীয় রাজনীতিকদের প্রভাবিত করে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করায়। স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকা-কে উৎসাহিত করে। এ জন্য তারা প্রশিক্ষণ দেয়, অর্থ ব্যয় করে। সরকারি কর্মকর্তা, বনরক্ষীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের বাইরেও আত্মপরিচয়সহ নানা অজুহাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ কারণে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন নামে, পরিচয়ে পাহাড়িদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত তৈরি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।