নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
উইকেটের ভাষা বুঝতে ভুল করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। মাঝের ওভারে ব্যাটসম্যানদের কাছে তাই গিয়েছিল ভুল বার্তা। এর মাশুল দিয়ে জুতসই রান আসেনি, বোলারদের তুমুল লড়াইয়ের পরও নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেট নিয়ে বোঝাপড়ায় সেই ম্যাচে টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে যে মত-দ্বিমত ছিল, তার আভাস আগেই মিলেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নামার আগে এবার ওই ভুলটা খোলাসাও করে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২৪৪ রান করে মাত্র ২ উইকেট ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে এক পর্যায়ে দলের পরিস্থিতি ছিল ২৬০-২৭০ রান করার মতো। কিন্তু আরও বড় কিছুর দিকে ছুটতে গিয়ে বাংলাদেশ করতে পারেনি ওইটুকু রানও।
টন্টনে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগের দিন কথা প্রসঙ্গেই এলো উইকেট পর্যবেক্ষণের ইস্যু। তাতে অধিনায়ক নিজ থেকেই বললেন নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের ভুলের কথা, ‘এটা আসলে একটা ম্যাচের হার-জিত ঠিক করে দেয়। আমার কাছে মনে হয় যেটা আমরা নিউজিল্যান্ড ম্যাচে করতে পারিনি। আমরা যদি উইকেট ঠিকমতো ধরতে পারতাম তাহলে চিন্তা করতাম ২৭০ বা ২৬০ ওই ম্যাচে জেতার মতো রান। যে পর্যবেক্ষণটা খুব প্রয়োজন।’
সূত্র বলছে সেদিন টিম ম্যানেজমেন্টের উচ্চ পর্যায়ের এক-দুজন রেডিও ধারাভাষ্য শুনে উইকেট নিয়ে প্রভাবিত হয়েছিলেন। মাঝের ওভারে ব্যাটসম্যানদের তাই মেরে খেলার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। যাতে সায় ছিল না অধিনায়কের। সেই বার্তাই হয়ে যায় হিতে বিপরীত। ব্যাটসম্যানরা মারতে গিয়ে তড়িঘড়ি ফেরায় আর যাওয়া হয়নি প্রাথমিক লক্ষ্যেও। কারো নাম উল্লেখ না করেই সেদিনকার ধারাভাষ্যকারদের কথায় প্রভাবিত হওয়ার প্রসঙ্গে টেনে আনেন মাশরাফি, ‘ধারাভাষ্যকারদের কথা শুনে উইকেট এসেস করা সহজ না। ধারাভাষ্যকাররা তো বলবেই মনে হচ্ছে এই, মনে হচ্ছে ওই। আল্টিমেটলি খেলা যেভাবে চলবে কমেন্ট্রি ওইভাবেই হবে।’
যে ভুল হয়েছে। খাদের কিনারে থাকা বাংলাদেশ এই ভুল আর করতে চায় না। ওভালের সেদিনের উইকেটের মতো টন্টনের উইকেট নিয়েও দুই রকমের চিন্তা আছে। উইকেট বুঝতে তাই অধিনায়ক মাঝের ওভারে যারা ব্যাট করবেন তাদের উপরই আস্থা রাখতে চান, ‘এই উইকেটেও (টন্টনের উইকেট) একই রকমের বিভ্রান্তি আছে। প্রথমদিকে শুনেছি ঘাস থাকবে। আবার কেউ কেউ বলছেন এটা আজীবনই ফ্ল্যাট উইকেট। আমার মনে হয় যারা মাঝের ওভারে খেলবে তারা দ্রুত বুঝতে পারবে।’
মাঠের বাইরে থেকে নয়, এখন থেকে উইকেট বোঝার দায়িত্ব যে ওই পরিস্থিতিতে থাকা খেলোয়াড়দের উপরও থাকছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অধিনায়ক, ‘একটা ম্যাচে যখন খেলা চলতে থাকে উইকেটের আচরণ কিন্তু পরিবর্তন হয়। ওভালে বেশিরভাগ সময় আপনি ধরে রাখবেন সাড়ে তিনশো রান বা তিন ত্রিশ করতে হবে। ওইটা ভাবনায় থাকে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকারব বিপক্ষে আমাদের হিসাব নিকাশ ঠিক ছিল। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও আমরা ঠিক পথে আগাচ্ছিলাম। হয়ত সাকিব আউট না হলে আমরা ওইদিকেই যাচ্ছিলাম। মিঠুন-রিয়াদ যখন ব্যাট করছিল তখনো ঠিক জায়গায় ছিলাম। ২৭০ করার মতো অবস্থায় ছিলাম। আসলে উইকেটে যারা এতক্ষণ ব্যাট করছে তাদের উইকেট এসেস করা বেশি দরকার বাইরের থেকে করার (পর্যবেক্ষণ) চেয়ে। একেকদিন একই উইকেটকে আপনি বিভিন্নভাবে, বিভিন্নরূপে দেখতে পারেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।