Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সউদীর চাঁদ দেখা নিয়ে মুসলিম বিশ্বে বিতর্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৯, ৮:২৮ পিএম

রমজানের শেষে গত মঙ্গলবার সউদী আরবের ঈদ উদযাপন করার সিদ্ধান্ত বিশ্ব জুড়ে মুসলমানদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, অনেক দেশই পবিত্র রমজান মাস আরও একটি স্থায়ী হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করে।

রমজানের শেষে যখন নতুন ক্রিসেন্ট (অমাবস্যার পরে প্রথম চাঁদ) দেখতে পাওয়া যায় তখন ঈদের উৎসব শুরু হয়। সউদী কর্তৃপক্ষ সোমবার সূর্যাস্তের কয়েক মিনিট পরে এই নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার দাবি করেছিল। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি করেন যে, সোমবার পৃথিবীর কোন স্থান থেকে চাঁদ দেখা প্রায় অসম্ভব ছিল। তাদের এই দাবি সউদী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

সউদী আরবের প্রতিবেশী দেশ মিশর বলেছে যে, সোমবার রাতে চাঁদ দেখা যায়নি। তাই মঙ্গলবারও মুসলমানরা রোজা পালন করবে। মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি শওকি আলম কর্তৃক নেয়া এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, কায়রোর আল-আজহার মসজিদটি সুন্নি স্কলারশিপের অন্যতম প্রধান আসন হিসাবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো অন্যান্য বড় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো সউদী আরবের পরেরদিন উদযাপন করে।

এই বিতর্কের কারণে ব্রিটেনের মসজিদগুলো চন্দ্র ক্যালেন্ডারে ব্যপারে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। লন্ডনের মসজিদগুলোর সমন্বয় কমিটি এবং ইসলামী কেন্দ্রগুলো সউদী চাঁদ দেখা অনুসরণ করে। কিন্তু বার্মিংহামের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেরকে অনুসরণ না করে বুধবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এই বিতর্ক নিউ ক্রিসেন্ট সোসাইটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইমাদ আহমেদকে হতাশ করেছে। তারা সোমবার সন্ধ্যায় সাধারণ জনগণের জন্য চাঁদ দেখার ব্যবস্থা করেছিলেন। ইমাদ বলেন, সউদীর চাঁদ দেখা ‘অসম্ভব’ এবং এটিকে ‘নতুন বিশ্ব রেকর্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। ইমাদ আহমেদ সউদীর ঘোষণার উপর নির্ভর করার পরিবর্তে ইসলামী ঐতিহ্য অনুসারে রমজানের শুরু ও শেষ নিশ্চিত হতে স্থানীয়দেরকে চাঁদ দেখার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করছেন। এজন্য তিনি গ্রীনউইচের রয়্যাল ওবসারভেটরির সাথে কাজ করছেন। সূত্র: মর্নিং স্টার।



 

Show all comments
  • Md. Shahidul Alam ১০ জুন, ২০১৯, ১০:০৮ এএম says : 0
    No nation/community should rely on other nation/community for looking moon. The muslim must obey the rule of Quran and Hadiths for any religious decstion. So without looking the moon Eid and other religious festival should not observe, it is a great sin. A true muslim must obey the rute of Islam.
    Total Reply(0) Reply
  • হাফেজ মাওঃ মোঃ ইব্রাহীম খলিল ১১ জুন, ২০১৯, ১০:৪৮ এএম says : 0
    আমি অনেক অনেক আনন্দিত এই পত্রিকা পড়ে তবে আরও যোগউপযোগী করে বস্তু বান্দব করে সংবাদ পরিবেশন করা হউক ইসলামের দিকে লক্ষ্য রেখে বিনোদন পাতা চাপা হউক।
    Total Reply(0) Reply
  • খায়রুল হুদা খান ১২ জুন, ২০১৯, ৭:৫৩ এএম says : 0
    স্থানীয় চাঁদ দেখে হিজরী তারিখ গণনা তথা ঈদ/রামাদ্বান উদযাপন করাই কুরআন-হাদীস অনুযায়ী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা যা গত চৌদ্দশত বছর ধরে চলে আসছে। সৌদীকে অনুসরণ করার যে রাজনৈতিক চিন্তা-ধারণা তা থেকে মুসলিম বিশ্বকে বেরিয়ে আসা সময়ের দাবি। বিশেষ করে সৌদি আরব খামখেয়ালির মাধ্যমে তাদের পূর্ব নির্ধারিত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চাঁদ দেখার ঘোষণা দিয়ে মুসলিম বিশ্বে কেবল বিতর্কই সৃষ্টি করছে না বরং রোযার মত একটি ফরয আমলে যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে তা অনেককেই দারুণভাবে পীড়া দিচ্ছে। আল্লাহ্ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Billal Hosen ১৩ জুন, ২০১৯, ২:৩৩ পিএম says : 0
    মহানবী সাঃ বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ এবং চাঁদ দেখে রোজা ভঙ্গ করো আর যদি আকাশ মেগাশ্চন্ন থাকে তাহলে ৩০ দিন পূর্ণ করো।
    Total Reply(0) Reply
  • hghh ১৩ জুন, ২০১৯, ৩:৩৩ পিএম says : 0
    no comment
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদ

১৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ