গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল এলাকায় প্রেমিকার বাসায় আশিক এ এলাহী (২০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে আশিকের পরিবারের দাবি, বিষয়টি রহস্যজনক।
আজ মঙ্গলবার ভোরে কুড়িল পূর্বপাড়া এলাকায় ওই বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে শায়িত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত যুবকের সহপাঠী নাজমুস সাকিব বলেন, এলাহী আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। সহপাঠী এক মেয়ের সঙ্গে তার গত এক-দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। মেয়েটি অন্য একজন মেয়ের সঙ্গে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
‘আশিকের প্রেমিকা আজ মঙ্গলবার ভোরে ফোনে নিহতের বড়ভাইকে বিষয়টি জানান। এরপর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।’
তিনি বলেন, আশিকের উচ্চতা ছয় ফুট, তিনি কোনোভাবেই জানালার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাছাড়া বিষয়টিকে রহস্যজনক হিসেবে মনে করছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আশিকের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দালালবাজার গ্রামে।
ভাটারা থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, দুইজনই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ছেলেটি সকালে মেয়েটির বাসায় গিয়ে আজই বিয়ের কথা বলে। মেয়েটি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ছেলেটি আত্মহত্যার হুমকি দেয়।
‘এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে মেয়েটি বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি ঘরে ফিরে আশিককে কোমরের বেল্ট দিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে থাকতে দেখে।’
তিনি বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাসার মালিক পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আশিককে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি আবু বকর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।