প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকার বাহিনী এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেড খলিফা হাফতারের বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে ত্রিপোলিতে। এতে বিভিন্ন ধরনের ভারী ও মাঝারি অস্ত্রের ব্যবহার করছে তারা। লিবিয়ার দক্ষিণ ইয়ামকুকে এসব সংঘর্ষগুলো বেশি হচ্ছে। একটি সামরিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে আল-জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্যের সরকার বাহিনী ত্রিপোলির দক্ষিণাঞ্চলীয় ইয়ারমুক ক্যাম্পে হাফতার বাহিনীর আক্রমণকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। একই সূত্র নিশ্চিত করেছে যে সরকারী বাহিনী এখনও রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণে যুদ্ধের কেন্দ্রগুলোতে তাদের অবস্থান বজায় রাখতে পারছে। তবে এটা কতক্ষণ টিকে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত গত ৭ এপ্রিল খলিফা হাফতারের আক্রমণ শুরু করার তিনদিন পর মার্কিন কমান্ড ফর আফ্রিকা লিবিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল। তখন তারা জানিয়েছিল, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। লিবিয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থায় সহযোগিতা করতে মার্কিন বাহিনী রাজধানী ত্রিপোলি এবং মিসরাত শহরে ফিরে এসেছে বলে লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকারের বেশকিছু সূত্র আল-জাজিরাকে নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে, ঘোষণা দিয়ে প্রত্যাহারের কয়েক দিন পরই লিবিয়ায় ফের মার্কিন সেনা প্রেরণে মধ্যপ্রাচ্যে নানান বিশ্লেষণ চলছে। রাজধানী ত্রিপোলি ও লিবিয়ার একটি বড় শহর মিসরাতায় ফের মার্কিন সেনা প্রেরণ করায় বিশ্লেষকরা এ বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছে। আল-জাজিরার ত্রিপোলি সংবাদদাতা আহমাদ খালিফা বলেন, আমেরিকান সৈন্য চলে যাওয়ার পর আবার ফিরে আসার কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, হাফতার কর্তৃক ত্রিপোলিতে হামলার পর ত্রিপোলি ও পশ্চিম অঞ্চলে বৃহৎ পরিসর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন আসে। যা হামলার আগে স্থিতিশীল ছিল। হাফতারের আক্রমণের আগে পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্ক করেছে যে, হামলার কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। আর বাস্তবে তাই হয়েছে। অন্যদিকে লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকার এর আগে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠির একজনকে গ্রেফতার করে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে যে, তিনি বোমা হামলা ও ত্রিপোলির ভেতরে নাশকতার করার সংকল্প করেছিলেন। আল-জাজিরার সংবাদদাতা জানান, লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকার এবং আমেরিকান বাহিনীর মধ্যে এই সহযোগিতা এবারই প্রথম নয়। সরকারি বাহিনী মার্কিন বাহিনীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে। সে সময় মার্কিন বাহিনী লিবিয়া সরকারকে বন্ধু হিসেবে সিরত শহর পুনঃস্থাপনের জন্য বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে সহযোগিতা করে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।