গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
খাদ্যে ভেজালকারী মা, মাটি ও মানুষের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি (এনএফএস) নামে একটি সামাজিক সংগঠন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'পবিত্র রমজান মাসে ভেজালমুক্ত খাদ্য চাই' শিরোনামে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তার এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, যে সকল অসাধু, লোভী ব্যবসায়ী খাদ্যে ভেজাল দেয় তারা মা, মাটি ও মানুষের শত্রু। তারা দেশ, জাতি ও মানবতার শত্রু। খাদ্যে ভেজালকারী ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় শুত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে পুরো জাতিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে এই অসাধু লোভী দুষ্ট চক্রটি। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত হোটেল রেস্টুরেন্ট বা নামিদামি ব্রান্ডের পণ্যও এখন ভেজালমুক্ত নয়।
সংগঠনের নেতারা বলেন, ভেজাল আজ আমাদের একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এই সমস্যা রোধে আমাদের জাতিগতভাবে একসাথে মোকাবিলা করতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারীদের সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জনগণ সাধারণকেও সচেতন হতে হবে। জনগণ যদি সচেতন হয় তাহলে আমাদের সমাজে কেউ খাদ্যে ভেজাল দিতে পারবে না।
তারা বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে , শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ, কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ। এ ছাড়া গর্ভবতী মায়ের শারীরিক জটিলতাসহ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এই পরিসংখ্যানটি আমাদের ভাবিয়ে না তুলে পারে না।
সংগঠনের বন্ধুরা বলেন,খাদ্যে ভেজালকারী প্রতিষ্ঠানের শুধু জরিমানা করলে হবে না, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা প্রয়োগ করার কোনো নজির নেই। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ করতে হবে। ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তারা বলেন, পবিত্র রমজান মাস, সিয়াম সাধনার মাস। আমরা আশা করবো রমজান মাসে ব্যাবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল দেয়া থেকে বিরত থাকবে।
ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির (এনএফএস) সভাপতি রাহাত হুসাইনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ইমরান হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তৃতা করেন আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, এস এম মাসুদ কায়সার, অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবতার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ইসা, আরও বক্তৃতা করেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আহসান হাবিব রিপন, নাজমুল করিম মজুমদার, যুগ্মসচিব রাশেদ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক সালেকুজ্জামান রাজিব, প্রচার সম্পাদক আহসান হাবিব সবুজ, আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক নয়ন বর্মন, সদস্য বাপ্পা রাজ দাস, আল-আমীন, মো. তারেক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।