Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হিলারিকে হারিয়ে লাভবান হতে চেয়েছিল রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ মিলেছে বরার্ট মুলারের বহুল প্রতীক্ষিত তদন্ত প্রতিবেদনে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ২৩ মাসের তদন্ত শেষে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে আনা হয়। মুলারের অনুসন্ধান অনুযায়ী, মার্কিন নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টনকে পরাজিত করে লাভবান হতে চেয়েছিল রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে রবার্ট মুলারের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রচারণা শিবির বার বারই বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। এ ধরনের ১১টি ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সেই সঙ্গে এ ধরনের কর্মকান্ডকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে একে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে কংগ্রেসের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, উদ্দেশ্য সফল করতে রুশ গোয়েন্দারা তৎপর ছিলেন। ২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে মস্কো প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে আশঙ্কা করছিলো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটির পরিচালকের পদ থেকে জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়।
২০১৭ সালের মে মাসে এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার। মার্চে দেশটির আইনমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি। বৃহস্পতিবার প্রায় সাড়ে চারশ পৃষ্ঠার মুলার-প্রতিবেদন জনসম্মুখে আনা হয়। প্রতিবেদনটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা।
বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সে দেশের গোয়েন্দারা মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে ট্রাম্পকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত ছিল ক্রেমলিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ উদ্দেশ্য সফল করতে ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তাদেরকে ট্রাম্প-পুতিন কথোপকথন, দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়ন, রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়। উইকিলিকস কর্তৃক হিলারি ক্লিন্টন ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ইমেইল ফাঁসেও রাশিয়ার সংযোগ পেয়েছেন মুলার। ২০১৭ সালের মে মাসে এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার। মার্চে দেশটির আইনমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রায় ৪৫০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা। আর দ্বিতীয়ভাগে রয়েছে তদন্ত ও বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্প ও তার প্রচারণা শিবিরের প্রচেষ্টা। প্রতিবেদন অনুযায়ী বিচার বাধাগ্রস্ত করার যেসব প্রচেষ্টা হয়েছে, তার মধ্যে আছে: মুলারকে বরখাস্ত করতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা, ট্রাম্পের নির্দেশে সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বরখাস্ত হওয়া, মুলারের তদন্তের পর্যালোচনা ছিনিয়ে নিতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা, মুলারকে যে ট্রাম্প বরখাস্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তা অস্বীকার করতে হোয়াইট হাউসের কাউন্সেল ডোনাল্ড ম্যাঘানের প্রতি ট্রাম্পের নির্দেশ। এছাড়া মাইকেল ফ্লিন, পল মানাফোর্ট এবং মাইকেল কোহেনসহ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত সহযোগীদের প্রতি ট্রাম্পের আচরণ।
প্রতিবেদনের প্রথমভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা। বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি,প্রচারণায় সহায়তার প্রস্তাব,পুতিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো, রুশ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচারণা দলের বৈঠক, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কোন্নয়নে নীতিগত আলাপের প্রচেষ্টা ছিল। উইকিলিকস কর্তৃক হিলারি ক্লিন্টন ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ইমেইল ফাঁসেও রাশিয়ার সংযোগ পেয়েছেন মুলার।
মুলারের ‘প্রতিবেদনে ট্রাম্পের প্রচারণা দলে থাকা ব্যক্তিদের একাংশের সঙ্গে রুশ সরকারের প্রতিনিধিদের বেশকিছু সংযোগ খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে প্রাপ্ত আলামত ট্রাম্প শিবিরকে অপরাধী প্রমাণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নয়। ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির যে রুশ সরকারের সঙ্গে নির্বাচনি হস্তক্ষেপের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল কিংবা এ সংক্রান্ত সহযোগিতা দিয়েছে, তা তদন্তে প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।
মুলার বলেছেন, ‘আমার যে-টুকু আইনি স্বাধীনতা ছিল,তাতে রুশ হস্তক্ষেপের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচারের সম্পর্ক ছিল কি না, বলা সম্ভব নয়।’ মুলার বলেছেন, ‘তদন্তকারীদের সামনে এমন কিছু কঠিন পরিস্থিতি ছিল যার ফলে সত্যিই বলা মুশকিল যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রুশ হস্তক্ষেপ বিষয়ে তদন্তে বাধা দিয়েছিলেন কি না। কংগ্রেস চাইলে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে।’ সূত্র : সিএনএন, এএফপি, বিবিসি।



 

Show all comments
  • rudro nill ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:৫৫ এএম says : 0
    trump er moto ekta pagol ke khomotai ante para rushiar boro sofolota
    Total Reply(0) Reply
  • saem molla ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:৫৮ এএম says : 0
    I hate America more and more.
    Total Reply(0) Reply
  • Miraj mahadi ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:০২ এএম says : 0
    America er morolipana sesh howar somoy asece
    Total Reply(0) Reply
  • titumir ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:০৪ এএম says : 0
    subush rushia. inshallah trump e usa ke dhongsho kore debe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ