মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পৃথিবী যেন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে ভারত ঝুঁকছে আমেরিকার দিকে, অন্যদিকে পাকিস্তান সম্পর্ক করতে চায় রাশিয়ার সাথে। অমৃতসরের সম্মেলনে কাবুলের সঙ্গে নয়াদিল্লির যে ঘনিষ্ঠতা দেখা গেছে তা এর আগে কখনো দেখা যায়নি বলেই দাবি করছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানে একযোগে আক্রমণ করেছেন ইসলামাবাদকে। এককথায় বলা যায় ভারত, আমেরিকা ও আফগানিস্তান আর অন্যদিকে পাকিস্তানের পুরাতন বন্ধু চীনের সাথে নতুন বন্ধু হিসাবে এখন যোগ দিচ্ছে রাশিয়া। এমনি এক নতুন সমীকরণে আত্মপ্রকাশ পায় ‘হার্ট অব এশিয়া’ মঞ্চে। দীর্ঘদিনের একটি অক্ষের নিঃশব্দ বদলের সম্ভাবনা আরো একটু উস্কে দিল ‘হার্ট অব এশিয়া’ মঞ্চ। সন্ত্রাস-বিরোধিতায় সরগরম অমৃতসরের সম্মেলন শেষে এমনটাই মনে করছেন ভারতের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এই অক্ষটি সেই স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান, অন্যদিকে ভারত-রাশিয়া। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সমীকরণ বদলে গিয়ে অক্ষের নতুন বিন্যাসটি এখন যেরকম তা হলো একদিকে রাশিয়া ও পাকিস্তান, আরেক পক্ষে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, অমৃতসর ঘোষণায় সন্ত্রাসের প্রশ্নে পাকিস্তানকে এভাবে চাপে ফেলার পিছনে হোয়াইট হাউসের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক দূতালি কাজ করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরে জানুয়ারি মাস থেকে এই ক্ষেত্রে মার্কিন নীতিতে কোনো বদল আসবে কিনা সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয় এখনো। তবে আপাতত যেটা জানা যাচ্ছে, তা হলো ‘অমৃতসর-ঘোষণা’য় হোয়াইট হাউসের পরোক্ষ সিলমোহর রয়েছে বলেই জানা গেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, অমৃতসরের মঞ্চে পাকিস্তান কোণঠাসা হওয়ায়, অস্বস্তি গোপন রাখেনি মস্কো। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কথায়, হার্ট অব এশিয়ায় উপস্থিত রাশিয়ার প্রতিনিধির বক্তব্য ও আচরণ থেকেই স্পষ্ট যে, তারা পাকিস্তানের পাশে। ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে ইসলামাবাদের সঙ্গে। উরির হামলার পর, ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও ইসলামাবাদের সঙ্গে মস্কোর সামরিক মহড়ার বিষয়টি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এছাড়াও হার্ট অব এশিয়া সম্মেলনে উপস্থিত আফগানিস্তানের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাশিয়ার কূটনীতিক জামির কাবুলভকে পাকিস্তানের-সন্ত্রাস নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এই ধরনের মঞ্চ ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের জন্য নয়। কে কোন দেশের বিরুদ্ধে কতটা চাপ তৈরি করতে পারল, তার খেলা নয়। পাকিস্তানের সন্ত্রাস নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান কাবুলভ। কিন্তু দু’মাস আগের পাক-রুশ যৌথ সেনা মহড়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মনে করিয়ে দেন, ভারতও তো আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমঝোতা করে এগোচ্ছে। তা নিয়ে আমরা কি কখনো আপত্তি করেছি? সে তুলনায় পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সামরিক সমঝোতা ‘মাঝারি’ মানের। দুই দেশের পরিস্থিতি বদলের দিকে সতর্ক নজর রাখছে ভারত। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।