Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শকুন বাঁচান

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

এখনও চোখের পাতায় ভাসে- জন্মস্থান পিরোজপুরে কচা নদীর তীরে বিশাল আকারের শকুন বসে থাকতে দেখেছি। দেখেছি মৃত প্রাণীর ওপর বসে ঠুকরে ঠুকরে তা খাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার পর ৫০ বছর কেটে গেল। আজও ওই পথে যাই কিন্তু চোখে তো শকুন পড়ে না। শুনেছি, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন বিভাগ শকুন রক্ষার জন্য কাজ করছে। শকুন নিয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ বিশেষ ডাকটিকিট, স্যুভেনিরশিট ও খামও প্রকাশ করেছিল। এরপরে ভেবেছিলাম, নদীপথে-বনপথে-নির্জনপথে-চরাঞ্চলে চলতে গেলে হয়তো দেখব শকুন। কিন্তু দেখাই তো যায় না শকুনের। অথচ শকুন পরিবেশের জন্য উপকারী পাখি। অন্যদিকে মৃত প্রাণী বা পচাগলা খাওয়ার ফলে ক্ষতিকর রোগজীবাণুও ছড়ায় না মানুষের মধ্যে। আবার এসব ময়লা-আবর্জনা খেলে শকুনের কোনো ক্ষতিও হয় না। কারণ এদের হজমশক্তি অনেক বেশি। একদা কয়েক প্রজাতির শকুন বসবাস করত আমাদের এই বাংলাদেশে। নির্বিচারে গাছপালা কাটা, বনাঞ্চল উজাড়, চরাঞ্চলে বাড়িঘর গড়ে তোলাসহ নানা কারণে শকুন বসবাসের জায়গা হারিয়ে কমতে কমতে বিলুপ্ত হয়েই কি গেল! যদি দু›চারটা থেকেও থাকে তা বাঁচিয়ে রেখে কোথাও শকুনের বংশবিস্তার করে এদের আবাসস্থল কি গড়ে তোলা যায় না! নিরাপদে শকুন আকাশে উড়বে, চরে নয়তো নদীতীরে বসবে- মৃত প্রাণী ও পচাগলা খাবে। আমরা তো এমন দৃশ্যই দেখতে ইচ্ছুক। বাংলার লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ূক শকুন।
লিয়াকত হোসেন খোকন
মিরপুর, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন