ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে বৈশাখী আয়োজনের কনসার্টস্থলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্রলীগের একটি অংশ। সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে । শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া দেড়টার দিকে এ হামলা চালানো হয়।এ সময় পুরো অনুষ্ঠান স্থলে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। মেলার স্টল ও সাউন্ড সিস্টেমও ভাংচুর করা হয়।
জানা যায়, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে ১৩ ও ১৪ এপ্রিল কনসার্টের আয়োজন করেছিল ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। কনসার্টে জেমস, মিলা, ওয়ারফেজ, আরসেল ও ফিট ব্যাকসহ বেশ কয়েকটি ব্যান্ড আসার কথা রয়েছে। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বলছেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারীদের অনেককেই ঘটনাস্থলে দেখা যায়। সাংগঠনিক বিরোধ থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে এ হামলার বিচার চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি লিখেন, "বাংলার বুকে,স্বাধীনতার মহান চত্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী কনসার্টে যারা আগুন দিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে, এরা কারা বুনোদল ঢুকে ! এরা স্বাধীনতার সংস্কৃতিতে আগুন দিয়েছে! যারা করেছেন এসব একবার ভেনে দেখবেন নিজের বিবেককে কি করেছেন?বিচার চাই, কঠোর বিচার"কোনোভাবেই পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে বাধাগ্রস্থ করা যাবে না। শনিবার কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে"
এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. এ একে এম গোলাম রব্বানী বলেন, খুবই একটি অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত থাকুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডাকসুর জিএস ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস এবং ডাকসুর এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন উপস্থিত ছিলেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।