পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসময়ে শিলা বৃষ্টিতেও এবার উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েনি সিলেট হাওর অঞ্চলের ইরি বোরো ফসল। এছাড়াও নদ-নদীতে পানির প্রবাহ তুলনামূলক কম থাকায় এবারের বোরো ফসল নিয়ে কৃষকরা ব্যাপক আশাবাদী। তবে আবহাওয়া কোন কারনে অস্বাভাবকি রূপে মূর্তিমান হয়ে বিগড়ে গেলে পাল্টে যেতে পারে হিসাব-নিকাশ।
এদিকে, সুনামগঞ্জে হাওররক্ষা বাঁধের ৮০ ভাগ কাজও শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পিআইসি। বর্ধিত সময়ের এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে যে কোনো সময় বাঁধ উপচে পুরো হাওর অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের সময়সীমা শেষ হলেও ৫০ ভাগ শেষ না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেন। নির্ধারিত সময়ের পরও আরো ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এজন্য হাওর রক্ষা বাঁধসমূহে বিশেষ নজরদারীর জন্যে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও কৃষকরা। চলমান এই অবস্থার মধ্যে হাওর সমূহে ধান পাকতে শুরু করেছে। সে ধান ঘরে তুলতে হাওর এলাকায় শ্রমিক সংকটে চরম বিপাকে সিলেট অঞ্চলের কৃষকরা। বাস্তব প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব হলে হলে হাসি ফুটবে কৃষকের মুখে। চলতি ইরি বোরো মৌসুমে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ লাখ ৬ হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন। টার্গেট (লক্ষ্যমাত্রা) অনুযায়ী উৎপাদন হলে উৎপাদিত ধানের দাম হবে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
কৃষি বিভাগ সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলতাবুর রহমান আবাদ নিয়ে তথ্য তুলে ধরে বলেন, ইরি বোরোর আবাদ বেশ ভালোই হয়েছে চলতি মৌসুমে। ইতিমধ্যে হাওরের ধান পাকতেও শুরু করেছে। বিলম্ব না করে পাকা মাত্রই ধান কাটতে কৃষকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় মোট ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫৫৭ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়। আবাদকৃত জমি থেকে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ১০৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
ধানের হিসেব অনুযায়ী উৎপাদন হবে ৩৩ লাখ ৬ হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে এমন আশঙ্কাও অবাস্তব নয়।
জানা গেছে, হাওরের ইরি-বোরো জমিতে ২ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৬১ হাজার ৭৪৭ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল জাতের ২ লাখ ৪৫৭ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৯ হাজার ৫৬১ হেক্টর। সিলেট জেলায় হাইব্রিড ৩ হাজার ৯৪০ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ২৫ হাজার ৪১৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫ হাজার ৫১৫ হেক্টর আবাদ করা হয়। মৌলভীবাজার জেলায় হাইব্রিড ১ হাজার ৩০০ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ২০ হাজার ৮০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪০০ হেক্টর। হবিগঞ্জ জেলায় হাইব্রিড ৩০ হাজার ৭৬০ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ১৫ হাজার ৩৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৬০ হেক্টর এবং সুনামগঞ্জ জেলায় হাইব্রিড ২৫ হাজার ৭৪৭ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬২ হেক্টর ও ৩ হাজার ৫৮৬ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয় স্থানীয় জাতের ধান ।
এছাড়াও হাওরের বাইরের উঁচু জমিতে স্কিম করে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়। স্কিমের জমির মধ্যে সিলেট জেলায় হাইব্রিড ২ হাজার ৯৫৩ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ৩৯ হাজার ১৭৩ হেক্টর ও ২ হাজার ৭১৩ হেক্টরে স্থানীয় জাতের ধান আবাদ করা হয়। মৌলভীবাজার জেলায় হাইব্রিড ৮৭৮ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ২৯ হাজার ৭২২ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১৬ হেক্টর। হবিগঞ্জ জেলায় হাইব্রিড ৮ হাজার ১৫৭ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ৬৩ হাজার ৮০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪০ হেক্টর এবং সুনামগঞ্জ জেলায় হাইব্রিড ৪ হাজার ৮০৪ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ৪৪ হাজার ৩২৮ হেক্টর ও ২০৮ হেক্টরে ধান আবাদ করা হয়েছে স্থানীয় জাতের ।
কৃষি সংশ্লিষ্ট তথ্য অনুযায়ী, সিলেট জেলায় ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৯ মেট্রিক টন, মৌলভীবাজার জেলায় ২ লাখ ৯ হাজার ১৯৯ মেট্রিক টন, হবিগঞ্জ জেলায় ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন ও সুনামগঞ্জ জেলায় ৮ লাখ ৭০ হাজার ৫৮২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল উৎপাদিত হলে এর দাম হবে ৯ হাজার ৩৮৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের ৪ জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন হয় সুনামগঞ্জ জেলায়। জেলার সর্বত্রই ইরি-বোরোর আবাদ করা হয়। বর্তমানে সুনামগঞ্জের হাওর সমূহে ইরি- বোরো ধান পাকা শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সুনামগঞ্জের সর্বত্র ধান কাটার ধুম পড়বে। কিন্তু আবাদ হওয়া জমির তুলনায় ধান কাটার শ্রমিকের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল। শ্রমিক সংকটের ফলে আগে থেকেই কৃষকরা দিশেহারা হয়ে শ্রমিকের জন্যে দৌঁড়াদৌড়ি করছেন। শ্রমিক সংকট কেটে গেলে ধান পাকার সাথে সাথেই ধান কাটা-মাড়াই দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। তবে দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, তাহিরপুরসহ সুনামগঞ্জের সর্বত্র শ্রমিক সংকট রয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের পরও শেষ হয়নি ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ
এদিকে, সুনামগঞ্জে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৮০ ভাগ কাজও শেষ করতে পারেনি পাউবো ও পিআইসি। কৃষকরা জানান, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৮০ভাগ কাজও শেষ হয়। দিরাই ও শাল্লা উপজেলার দূর্গম হাওর এলাকায় তদারকি কম হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে। সূত্র জানায়, জেলার ১১টি উপজেলার ৩৭টি হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ড বোরো ফসলরক্ষায় নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন ও ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। কৃষকরা জানান, দিরাই উপজেলার চরনাচর ইউনিয়নের ২৪, ৩৭, ৫০,৫১ ও ৫৩ নম্বর পিআইসিসহ জেলার বিভিন্ন প্রকল্পে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়ায় ও কৃষকরা এ বরাদ্দকে হাওর লুটপাটের মহোসৎব বলে অখ্যা দিয়েছেন। এদিকে বৃষ্টিতে শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের ৭৩ নম্বর পিআইসিসহ বেশ কয়েকটি হাওরের প্রায় ৩০টি বাধে ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় ১৫৪ টি হাওরে বোরো ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩৭ টি হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করে। চলতি মওসুমে এ জেলায় ২ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে ।
জেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর পওর শাখা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া জেলার ৩৭টি হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শত ভাগ সম্পন্ন হয়েছে দাবি করে জানান, এবার ৫৬৫টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ৯৭ কোটি টাকা। এর কিস্তি টাকা পিআইসিদের দেয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতি দেখে টাকা পিআইসি অনুক‚লে ছাড় দেয়া হবে। তিনি আরো জানান, বৃষ্টিতে যেসব বাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো মেরামত করা হয়েছে।
বোরো ধান নিয়ে আতঙ্কিত কিশোরগঞ্জ হাওরের কৃষকরা
আমাদের কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের বোরো ধান নিয়ে আতঙ্কিত হাওরের কৃষকরা। আর মাত্র ১৫-২০ দিনের মধ্যে পেকে সোনালি রঙ ধারণ করবে এ ধান। কয়েক দিন আগে কিশোরগঞ্জের উপর বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে হাওড়বাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কিছু জমিতে আবার দেখা দিয়েছে চিটাও। বছরে একটি মাত্র বোরো ফসলে ধান সংগ্রহ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
জানা যায়, হাওরবেষ্টিত ইটনা উপজেলার পূর্বগ্রাম, লাইমপাশা, বাদলা, থানেশ্বর, মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া, চারিগ্রাম, ঢাকি, মহিষাকান্দি, অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তুল, দেওঘর, বাংগালপাড়া ও আদমপুর, নিকলী উপজেলার ছেত্রা, ছাতিরচর, সিংপুর, দামপাড়া ও গুরুই এলাকার কৃষকরা জানান, এবার হাওরের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি নেই। ধানেরও বাম্পার ফলন হয়েছে। তারা বলেন, প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে জমিতে গিয়ে দেখভাল করছি। এবার সময়মতো সেচ, সার ও কীটনাশক দিতে পেরেছি। তাই এবার ভালো ফলনের আশা করছি। এভাবে ঝড়-বৃষ্টি হতে থাকলে বাঁধ ভেঙে না আবার সর্বনাশ হয়ে যায়। এরই মধ্যে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর তান্ডবে কিছু ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু জমিতে আবার দেখা দিয়েছে চিটাও।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, কিশোরগঞ্জে এবার লক্ষমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩শ’ ১৭ হেক্টর ভূমিতে ধান রোপনের। বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫শ’ হেক্টর ভূমিতে। আমাদের লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমি আবাদ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বোরো আবাদ এবার কৃষক-কৃষাণিরা দলবেঁধে মাঠে নেমেছেন। চাষাবাদের উপযোগী কোনো জায়গা খালি নেই। গত কয়েক দিনের ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বড় ধরণের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে তাদের আশা প‚রণ হবে।
তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সব ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে- কখন কী করতে হবে। দুর্যোগের আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনে আধা পাকা এবং খাওয়ার উপযোগী ধান কেটে ফেলার কৌশলও বলে দেওয়া হয়েছে। আশা করি, এবার হাওরের কৃষক সফল হবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১লাখ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ
চলতি বোরো মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ১লাখ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাওর বেষ্টিত জেলার সরাইল,নাসিরনগর,নবীনগর,বিজয়নগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৩২ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়,প্রতিকূল আবহাওয়ার দরুন গত ২ এবং ৪ ঠা এপ্রিল শিলা বৃষ্টিতে হাওড় বেষ্টিত এলাকার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির উঠতি বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ আগামী আউশ মৌসুমে ৮ হাজার ২৫০ জন কৃষকের মাঝে বিনামুল্যে সার ও বীজ বিতরনের কর্মসূচী গ্রহন করেছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আবু নাছের জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।