রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ৩ হাজার ৬১৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ শিলাবৃষ্টিতে বোরোধান, আম, শাকসবজি, ভূট্টাসহ লিচুর ফলনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার ১২০ জন কৃষকের ৫২৫ হেক্টর জমির বোরো ধান, ৮৮৫ জন কৃষকের ২৯৫ হেক্টর জমিতে চাষ হওয়া আমের ফলন, ৬০০ কৃষকের ৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবদ হওয়া শাকসবজি, ২৫ জন কৃষকের ৫ হেক্টর ভূট্টার জমি, ও ৫ জন কৃষকের ১ হেক্টর জমিতর লিচু ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওই সূত্রে আরও জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা, সদরের মহারাজপুর, রানিহাটি, বারঘোরিয়া, শাহজাহানপুর, চরবাগডাঙ্গা, সুন্দরপুর, দেবিনগর, ঝিলিম, ইসলামপুর ও বালিয়াডাঙ্গায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের দেবিনগরের আমচাষি মুনিরুল ইসলাম জানান, গত রোববার ইফতারের পর থেকেই আকাশে মেঘের দেখা মেলে। কিছুক্ষণ পরেই ঝড়ো হওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টি হয়। খানিক পর মেঘলা আকাশে বজ্রপাতের সাথে ১০-১২ মিনিট ধরে শিলাবৃষ্টিও হয়। এ শিলায় ছোট আমের গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে অনেক গুটি আম ঝরে পড়েছে। অনেক আমে দাগ পড়েও নষ্ট হয়ে গেছে।
সদরের গোবরাতলা ইউনিয়নের আমচাষি শহিদুল্লাহ জানান, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহ হওয়ায়, আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছিল। ফলে বৃষ্টির খুবই দরকার ছিল। রাতের বৃষ্টি আমের গুটির জন্য দারুন উপযোগী। কিন্তু শিলাবৃষ্টি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক আম ঝরে পড়েছে। এছাড়াও যেসব এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে ওই সব এলাকায় ধান, ভুট্টারও ক্ষতি হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কানিজ তাসনুভা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৬১৫ জন কৃষকের ৯০১ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এ উপজেলায় ১২ মি. মিটার বৃষ্টিপাত রেকোর্ড করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, জেলার সদরে ১২মি.মি. শিবগঞ্জ উপজেলায় ২০ মি.মি. ও নাচোল উপজেলায় ৫ মি.মি. বৃষ্টির পানি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় বৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টি হয়নি। তিনি আরও বলেন, শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
শিলায় আমের পাশাপাশি ধানসহ শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। তবে জেলায় মোট কতজন কৃষকের কতটুকু জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও জানা যায় নি। আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সালেহ ইউসুফ ঢাকা জানান, এ বছর অফ ইয়ার হওয়ায় আমের ফলন কম। এদিকে ফের গতরাতে বৃষ্টির সাথে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আমের ফলন আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।