পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঝড়-বৃষ্টি মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রচন্ড শিলাবৃষ্টিতে উঠতি বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল, শাক-সবজি এবং আম ও লিচু মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঝড়-বৃষ্টি মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই গতকাল ভোর সোয়া ৪টায় দিকে হঠাৎ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। পৌঁনে ৫টার দিকে বৃষ্টিপাতের সাথে প্রথমে ছোট শিলা পড়তে শুরু করে। পরে ১৫ মিনিট ধরে বড় বড় শিলা পড়ে। শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে নেত্রকোনা সদর, কলমাকান্দা, মদন, খালিয়াজুরি ও পূর্বধলা উপজেলায়।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাওয়ালীকোনা গ্রামের কৃষক এস এম আরিফুল হাসান পুতুল জানান, প্রচন্ড শিলাবৃষ্টিতে নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৬০ ভাগ টিনের ঘর বড় বড় শিলা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে। এছাড়াও শিলাবৃষ্টিতে উঠতি বোরো ধানসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ও আম লিচুর মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অনন্তপুর গ্রামের কামরুন্নাহার লিপি বলেন, ভোরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মনে হয়েছিল ফসলের জন্য ভালো হবে। কিন্তু শেষ দিকে ১৫-২০ মিনিট শিলা পড়ায় গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ির টিনের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে। ফচিকা গ্রামের সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘শিলে আমার শাক-সবজি ক্ষেত মাটিতে মিইশ্যা গেছে’।
কাইলাটী গ্রামের কৃষক সবুজ মিয়া বলেন, ‘এই সময় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় খুশি হয়েছিলাম জমিতে সেচের পানি কম দেওন লাঘব। কিন্তু শেষ দিকে পাথর পইড়া ধান গাছের গজানো শীষ নষ্ট অইয়া গেছে’। মৌজেবালী গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া বলেন, ‘এইবার আম ও লিচু গাছে ব্যাপক মুকুল আইছিলো। শিলে বেশিরভাগ মুকুল পইড়া গেছে’।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, নেত্রকোনা জেলা সদরসহ ৫ উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এ খবর পাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদেরকে সরেজমিনে পরিদর্শনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত যে খবর পাওয়া গেছে, তাতে শিলাবৃষ্টিতে অনেক কৃষকের টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে। বোরো ধানের তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। কারণ এখনো ধানের শীষ বের হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।