Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চুরি-ডাকাতি সমাজকে কলুষিত করে

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

চুরি একটি অন্যায় ও পাপ কাজ। পবিত্র ইসলাম ধর্ম তা কখনো সমর্থন করে না। এমনকি সমাজও চুরি করাকে ঘৃণা করে। যতসব মন্দ কাজ বা অভ্যাস রয়েছে তার মধ্যে চুরি অন্যতম। এজন্য চুরি করাকে সমাজে প্রশ্রয় প্রদান করা হয় না। চুরি করার সময় চোরের মাঝে তার ঈমানী শক্তি থাকে না। যার কারণে পাপ সত্তে¡ও একজন চোর তার চুরির কাজ সম্পন্ন করে। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চোরকে বা চুরিকে কখনো প্রশ্রয় প্রদান করেন নি। চোরকে চুরির জন্য শরীয়ত মোতাবেক শাস্তি প্রদান করেছেন। মহান রাব্বুল আলামীন চুরির শাস্তি পবিত্র কোরআনে আলোকপাত করেছেন। আমাদের প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যের সম্পদকে লুট করে নেয়া বা তাতে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন। বিদায় হজের ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের রক্ত, সম্পদ ও সম্মানে হস্তক্ষেপ করা নিষিদ্ধ’। তাই চুরি করে হোক আর যেভাবেই হোক অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা, ভোগ করা জায়েয নয়।
ডাকাতি, ছিনতাই, লুট ইত্যাদি চুরি অপেক্ষা আরো গুরুতর অপরাধ। কেননা, চুরি হয় গোপনে, লোক চক্ষুর অন্তরালে। আর ডাকাতি, ছিনতাই, লুটপাট হয় প্রকাশ্যে, জনসমক্ষে বা অস্ত্র ঠেকিয়ে। যার কারণে মহান আল্লাহ তা’আলা এর কঠিন শাস্তি নির্ধরাণ করে রেখেছেন। আল্লাহর বাণী, ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক হতে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ হতে নির্বাসিত করা হবে। দুনিয়াতে এটাই তাদের লাঞ্চনা ও পরকালে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে’ (সুরা আল মায়িদা: ৩৩)। এ আয়াতে দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ানোর অর্থ কারো সম্পদ নিয়ে যাওয়া ও হত্যার মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করা। এখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ডাকাতি, ছিনতাই ও অন্যান্যভাবে বিপর্যয় সৃষ্ঠিকারীর জন্য সতর্কবাণী প্রদান করেছেন।
আমাদের সমাজে চুরি-ডাকাতি, লুটতরাজসহ এসকল অনৈতিক কাজ সম্পন্নকারী লোকের সংখ্যা কম নয়। সমাজে তারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুটতরাজ করে লোকজনকে সর্বদা ভয়ের মধ্যে রাখতে চায়। অথচ ইসলাম ধর্ম তা সম্পূর্ণভাবে হারাম করে দিয়েছে। আমাদের সমাজ থেকে এসব লোকের সংখ্যা কমাতে পারলে আমাদের সমাজ হয়ে উঠবে আদর্শময়। যে বা যারা এসব কাজ করে সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তবেই এদের নির্মূল করা সম্ভব হবে।
মাহফুজ আল মাদানী
প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন