পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের একমাত্র পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের পক্ষ থেকে গতকাল সংগঠনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে যান। আলিম পরীক্ষা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাত জাহান রাফিকে দেখে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন। রাফির বাবা মাওলানা আবু মুছাকে তিনি সান্তনা দিয়ে ধৈর্য্যধারণ করতে বলেন এবং জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের পক্ষ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। নুসরাত জাহানের পাশে সব সময় বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন থকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সে সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম ছায়েফ উল্যা, রেজিস্ট্রার সিদ্দিকুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দীন ও উপ-রেজিস্ট্রার মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
ফেনী জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নেতৃবৃন্দের নিন্দা
ফেনী জেলা সংবাদদাতা জানান, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে গত শনিবার মাদরাসার ভিতরে শরীরে আগুন দিয়ে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ফেনী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
তারা এক বিবৃতিতে বলেন, মাদরাসা শিক্ষা এদেশের নারী শিক্ষাকে সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু এর ফলে মাদরাসা শিক্ষার যে অর্জন তা ম্লান হয়ে গেছে, এ ঘটনাটি মাদরাসা শিক্ষাকে শুধু বাংলাদেশে নয় সারাবিশ্বে কলঙ্কের কালিমা লেপন করে দিয়েছে। এ ঘটনায় প্রথমত ছাত্রী রাফির প্রিন্সিপাল কর্তৃক শ্লীলতাহানির অভিযোগ এবং তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা এখন সময়ের দাবি। রাফির উপর যারা এ হামলা চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তিরও দাবি জানান বক্তারা।
বিবৃতিদাতাগণ জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি মাওলানা হোছাইন আহাম্মদ, সদর উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সভাপতি মাওলানা এয়াকুব ফারুকী, সেক্রেটারী মাওলানা আবদুল লতিফ, গোবিন্দপুর ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ছিদ্দিক উল্লাহ, পরশুরাম ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাও. নুরুল ইসলাম,দক্ষিণ শ্রীপুর ইস্কান্দারিয়া ফাযিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আলতাফ হোসেন, দাগনভূইয়া আজিজিয়া ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওমর ফারুক, দরবেশের হাট ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, নিজকুঞ্জরা ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল হান্নান, চরলক্ষীগঞ্জ নাজেরিয়া ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইলিয়াছ নিজপানুয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. ইউনুস, গুনক অলিপুর দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মাহমুদুল হাছান, আমিরাবাদ সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুজ্জামান, ও নুরুল ইসলাম রাজ্জাকী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।